কর্মধায় বিভিন্ন মামলার আসামির আত্মগোপন, আতংকে স্থানীয়রা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধি::
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে কর্মধায় পাহাড় দখল, হত্যা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী মামলার অনেক আসামিরা এখনো আত্মগোপনে রয়েছে। তৎকালীন সরকারের সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুর ক্ষমতার দাপট ছিলো তুঙ্গে। সেই সময় রেনু মিয়ার ছায়াতলে থেকে ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ প্রভাব বিস্তার করে কর্মধায় বহু অপকর্মে জড়িয়ে পড়লেও সরকার দলীয় সমর্থক থাকায় তখন কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করে নি। এমনকি বিভিন্ন মামলায় অনেকে আসামি থাকার পরও এখনো এলাকায় বীরদর্পে প্রকাশ্যে ঘুরছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
আবার কেউ কেউ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে গোপনে পাড়ি জমিয়েছেন বিভিন্ন দেশে। স্থানীয়রা এসব লোকজনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
তারা হলেন- কর্মধা এলাকার জোবের আহমদ, এলাইছ মিয়া, জামাল মিয়া, রেনু মিয়া, বাবুল আহমেদ, আবুল আহমেদ, আব্দুর নূর, ছুফি মিয়া, ইয়াকুব মিয়া, জামাল-২, আনোয়ার হোসেন, রহমান মিয়া, রাজন মিয়া, ইমরান আলী, লোকমান মিয়া, ফজলু মিয়া, জায়েদ মিয়া, সজ্জাদ মিয়া, ছবুর মিয়া, শফিক মিয়া, নিজাম মিয়া, করিম মিয়া, এরা সবাই দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে কর্মধার বিভিন্ন এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ২০১২ সালে কর্মধা পাহাড়ে হতদরিদ্র মদরিছ হত্যা মামলার আসামি ফজলু মিয়া, এলাইছ মিয়া, করিম মিয়া ও জামাল মিয়া-২ রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় ২০১২ সালের ৫ আগষ্ট একটি হত্যা মামলা নং (০৫) দায়ের হয়েছিলো। এবং গত জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানায় দায়ের করা মামলায় এলাইছ মিয়া ও জামাল মিয়া তালিকাভুক্ত আসামি হিসেবে রয়েছেন।
এছাড়াও সাম্প্রতি কর্মধায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মুজাহিদুর রহমান সায়ান নামে এক যুবককে মারপিঠ করলে সে লজ্জায় আত্মহত্যা করে। পরে সায়ানের পরিবার থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল আহমেদ, তার ভাই আবুল আহমেদ ও ফজলু মিয়াসহ কয়েকজন আসামি রয়েছেন। স্থানীয় মনই মিয়া ও কাসেম মিয়া জানান, অনেক আসামিরা দিনে প্রকাশ্যে কর্মধার বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা কররেও রাতে অনেকেই কর্মধার কলা বাড়ি পাহাড়ে অবস্থান করেন। ২০১২ সালে খুন হওয়া মদরিছ আলীর খুনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মুখ খোলায় মদরিছ আলীর বোন জোৎসনা বেগম কে গত ২৫ জানুয়ারী এলাইছ ও তার দলবল লাঠিশোঠা নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায় বলে তারা অভিযোগ করেন।