গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল যুবক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন রায়হান নামের এক ব্যাক্তি। ১ শতক জমিতে মাত্র ৩০ গ্রাম বীজ ছিঠিয়েছিলেন। কম খরচ ও পরিশ্রম করে বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি। এখন রায়হানের দেখাদেখি তার প্রতিবেশীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন পেঁয়াজ চাষে।
খলিলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খেত থেকে বড় বড় গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ সংগ্রহ করছিলেন চাষী রায়হান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের দিকে লালতীরের মাঠ কর্মীরা একদিন এসে বললেন গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের কথা। বাড়ির পাশের প্রায় এক শতক জায়গা খালিই পড়েছিল। মাঠকর্মীরা পেঁয়াজ চাষের পদ্ধতি ও হাইব্রিড বীজ দিলেন। আমি শুরু করলাম কাজ। পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করলাম। জমিতে বীজ ছিটিয়ে দিলাম। কিছুদিন যেতেই দেখি গাছের চারা গুলো উঠছে। গাছ বড় হলে ছত্রাক নাশক ছিটিয়ে দিলাম। এখন আমার প্রতিটি গাছে বড় বড় পেঁয়াজ ধরেছে। খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে ওজন করে দেখি ৪ থেকে ৫ টায় এক কেজি হয়ে যায়। দেশী পেঁয়াজের মতো স্বাদ। যেহেতু একশতক জায়গায় করে আমি সফল হয়েছি এখন বড় জায়গা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করবো।থ
লালতীর সীড লিমিটেড এর ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়নি। আমরা শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামে একজন কৃষকে উদ্ভুদ্ধ করি পেয়াজ চাষে। লালতীর সীড লিমিটেড এর তিনটি জাতের (এলটি হাইব্রিড, বিজিএস ৪০৩ ও রেড হিল) পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করি। এরমধ্যে তুলনামূলকভাবে বিজিএস ৪০৩ ভালো ফলন এসেছে। আমরা মনে করি লালতীরের এই গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ যদি আমরা ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করি তাহলে আমাদের আর পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে এই পেঁয়াজ বড় ভুমিকা রাখবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশী হয়, সেই কারনে আমরা গ্রীস্মকালে পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে পারি না। সরকারিভাবে ও লালতীর এর মাধ্যমে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। যাতে আমরা গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের আবাদটা বাড়াতে পারি। খলিলপুরে লালতীরের প্রদর্শনী মাঠে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আমরা চাই এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক বিস্তার হোক। পেঁয়াজ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক এবং এর উৎপাদন খরচও অনেক কম।