৫২ তম সমাপনী কুচকাওয়াজে ৩৯৯ নব সেনা বিমান বাহিতে যোগ দিল
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:১৭ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
টানা ৯ মাস প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫২ তম সমাপনী কুচকাওয়াজ করে মহিলা-পুরুষ সমন্বয়ে ৩৯৯ জন নব সেনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দিল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় মৌলভীবাজারের শমশেরনগর বিমান বাহিনীর নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
শমশেরনগর বিমান বাহিনীর নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫২ তম বার্ষিক সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিপিবি,ওএসপু, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসও।
শীতের মৃষ্টি রোদে নব বিমান সেনা এসি-২ সুমন মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে অভবাদন গ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান। এরপর তিনি কৃতি রিক্রোটদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন।
এ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ২১ জন মহিলা ও ৩৭৮ জন পুরুষ মিলিয়ে মোট ৩৯৯ জন নব সেনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো।এতে এসি-২ মিজানুর রহমান এবং এসি-২ মো. সুমন মিয়া যথাক্রমে শিক্ষা ও জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণে সেরা রিক্রোট বিবেচিত হয়।এসি-২ মেহেদী হাসানশুব সার্বিক বিষয়ে কৃতিত্বের জন্য শ্রেষ্ঠ রিক্রোট বিবেচিত হয়।
এর আগে বিমান বাহিনী প্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী ঘাটি কুর্মিটোলা এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমোডর মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসিএসিএসসি, পিএসসি, শমশেরনগর স্টেশন কামান্ডার এয়ার কমোডর মো. মোস্তাকুর রহমান, বিএসপি, বিপিপি, এনডিসি, এফডব্লিউসিপিএসসি ও রিক্রোট ট্রেনিং স্কুলের অধিনায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. খায়রুল বাশার, পিএসসি তাকে স্বাগত জানান।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীপ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান শ্রদ্ধার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের ও গত জুলাই আগস্ট ২০২৪ এয়ার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধা জানান। নব রিক্রোটদেরকে সততা, একাগ্রতা ও নিষ্টার সাথে কাজ করে বিমান বাহিনীর যোগ্য বিমান সেনা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা অকৃত্রিম দেশপ্রেমের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলার আকাশ মুক্ত রাখার দৃঢ় অঙ্গিকার বাস্তবায়নে সক্রিয় অবদান রাখবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ সুদক্ষ ও অত্যাধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।তাই দেশের সব ধরণের দুর্যোগে বিমান বাহিনী অবদান রাখছে।
সমাপনী কুচকাওয়াজে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সময়ের পরিক্রমায় বিমান বাহিনী রিক্রোট ট্রেনিং স্কুল ১৩ আগস্ট ২০৯৮ তারিখে বিমান বাহিনী ঘাটি জহুরুল হক থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর স্থানান্তরিত হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নতুন রিক্রোটরা এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।