আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজারে কোল্ড স্টোরেজে অভিযানের দাবি সিসিএসের
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৯:০১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজারে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল আমীনের সাথে অবগতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যা ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা সৃষ্টিসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সিসিএস এর বর্তমানে ৬১টি জেলায় ও ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।
বিগত ১ মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রীক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, কতিপয় মজুদদার, বেপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিক যোগসাজসে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
সিসিএস এর পক্ষ থেকে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতীয়মান হয়েছে যে, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুদ রয়েছে। যা বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। কিন্তু মজুদদারেরা সরবরাহ হ্রাস করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হিমাগার থেকে বেশি মূল্যে আলু বিক্রয় করছে এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে না।
এমতাবস্থায়, কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া/মধ্যস্বত্তভোগী বেপারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট/অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যাযে আনার বিশেষ অনুরোধ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এর মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য আশরাফ আলী, ওমর ফারুক নাঈম, রুহুল আমীন, জাকারিয়া ইমন, নাকিব আহমদ মাহি, মো. আব্দুল্লাহ, ইমামুল হাসান খান, মো. আরিফ খান, আরিফ আহমদ, রেজাউর রহমান, রাফি হোসেন ফাহিম, মাহদি হাসান, মো. আব্দুল মুনিম, লোকমান আহমদ, কানিজ ফাতেমা, সাফি আহমদ, মো. মুস্তাকিন মিয়া, ইমাজ উদ্দিন প্রমুখ।