প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচন
বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা মাঠে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ এপ্রিল ২০২৪, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রের নেতিবাচক অবস্থান সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতা। প্রার্থিতা ঘোষণা করে এরই মধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন তারা। নির্বাচনী দৌড়ে জামায়াতে ইসলামীও এবার পিছিয়ে থাকছে না। বেশ কয়েকটি উপজেলায় দলীয়ভাবেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। শুধু প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলাতেই এ দুই দলের শতাধিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা থেকেও পিছিয়ে নেই জামায়াত। দলটি কয়েকটি উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীও ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে এ দুদলের শতাধিক প্রার্থী বর্তমানে মাঠে। জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দল দুটির এমন কৌশলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। সারা দেশে শতাধিক উপজেলায় খোঁজখবর নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ বহাল থাকলেও এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী মনোনয়ন বা সমর্থন দিচ্ছে না। ফলে ক্ষমতাসীন দলের যে কোনো নেতা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন। এই সুযোগে একেকটি উপজেলায় নির্বাচন করছেন দলটির একাধিক নেতা। সরকার দলের এই বিভাজনকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বহাল থাকলেও উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিএনপির সম্ভাবনাময় প্রার্থীরা। স্থানীয় রাজনীতির নানা হিসাব-নিকাশ, এলাকা কিংবা বংশগত বিবেচনায় অনেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে ভোটের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তারা। কেউ কেউ আবার ঘোষণা দিয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন। একইভাবে অনেক উপজেলায় ভোট করছেন জামায়াত নেতারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের ধরন সবাই দেখছেন বা জানেন। ২০১৪ ও ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত—এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধারকরা পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর যারাই দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তাদের অতীতের মতোই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম কালবেলাকে বলেন, ‘জামায়াতের অনেক নেতা নিকট অতীতে উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার আমরা দলীয়ভাবে কোনো ঘোষণা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন করছি না। জেলা ও উপজেলার নেতারা একমত হয়ে যদি নির্বাচন করতে চান, করবেন। কাউকে বাধ্য করা হবে না। এটি স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা দেখবেন। এখানে কেন্দ্রীয় জামায়াত কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না।’ আগামী মে মাস থেকে চার ধাপে সারা দেশে সাড়ে চার শতাধিক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণের জন্য তপশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ মে প্রথম ধাপ ও ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল। এ পর্যায়ে ১৫২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে। এরপর ২৯ মে এবং ৫ জুন তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ মাসের শেষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১১০টির তথ্য সংগ্রহ করেছে কালবেলা। এতে দেখা যায়, এসব উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের অন্তত ৭০ নেতাকর্মী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে বিএনপির ৪৩ এবং জামায়াতের ২৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। বাকি উপজেলাগুলোসহ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এ দুই দলের প্রার্থী সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা হুমায়ুন কবির মাঠে রয়েছেন। রায়পুর উপজেলায় মাঠে রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা নাজমুল হুদা। রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আকতার হোসেন প্রার্থী হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় মাঠে নেমেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান আলী। হবিগঞ্জের আজমেরিগঞ্জে প্রার্থী পৌর বিএনপির আহবায়ক খালেদুর রশিদ ঝলক। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে তৎপর রয়েছেন বিএনপির আবু তাহের ও ইসমাইল হোসেন। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা জামায়াতের আমির আরিফুর ইসলাম সোহেল। ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে তৎপরতা দেখাচ্ছেন বিএনপি সমর্থক ফারুক হোসেন মৃধা, যুবদলের উপজেলা সভাপতি কে এম ওবায়দুল বারী দিপু ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমিন। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. মিলন কবির, রৌমারী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইমান আলী ও উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তাফিজুর রহমান। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াতের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর ওরফে ভিপি বাহাদুর। মহেশখালীতে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি নেতা হাবিব উল্লাহ হাবিব। এখানে জামায়াতের পক্ষ থেকেও জয়নাল আবেদীনের নাম রয়েছে। কুতুবদিয়ায় জামায়াতের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন আ শ ম শাহরির চৌধুরী। ভোটে প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী এবং কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমেদ কুতুবী। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না এলে তারা ভোটে অংশ নেবেন না বলেও জানা গেছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মাঠে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামীম হোসেন চৌধুরী, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পেরা, কিশোরগঞ্জ সদরে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম, নাটোরের লালপুরে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু হাসনাত তারেক, ধোবাউড়ায় বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আল রাজি কমল ও শামসুর রশিদ মজনু, ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব, শেরপুরের শ্রীবরদীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন দুলাল, ঝিনাইগাতীতে জেলা বিএনপির সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র কুমার সরকার, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপজেলা বিএনপির আইন সম্পাদক মাসুদুল আলম দোহা, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইমান আলী, পিরোজপুরে ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল কবির তালুকদার, পঞ্চগড় সদরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু দাউদ প্রধান, নাটোর সদরে বিএনপির ইশতিয়াক আহমেদ হীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি ওমরাও খান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আতাউর রহমান মুকুল, বদলগাছীতে উপজেলা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার নান্নু ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে উপজেলা যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপু এবং নলডাঙ্গায় বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন জিল্লুর ও সরদার আফজাল হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শামীম হোসেন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নিজেদের দলীয় কোনো প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছি। তার পরও দলের হয়ে একটি উপজেলায় প্রতিনিধিত্ব করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। দল যদি না চায় তাহলে প্রার্থী হবো না এবং দলের কেউ এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হবে না।’ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক খালেদুর রশীদ ঝলক জানান, ‘শেষ পর্যন্ত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তিনিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।’ এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা। কোনো কোনো জেলায় দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে দলটি। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াত। এতে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাচ্চু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও জামায়াতের মহিলা রোকন লাকি আকতারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। একইভাবে নওগাঁর পত্নীতলায় জেলা পশ্চিম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মোকিম, ধামইরহাটে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন ও বদলগাছীতে জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থী হচ্ছেন। এ ছাড়া নীলফামারীর ডোমারে জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশীদ, ডিমলায় জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় হাবিবুর রহমান সাতা, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক, ঝিনাইদহ সদরে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, কালীগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা ওলিয়ার রহমান, কালীগঞ্জে জামায়াতের সেক্রেটারি খায়রুল হাসান, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলা জামায়াতের আমির এমাদুল ইসলাম, নাটোরের লালপুরে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, এ ছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জামায়াতের অ্যাডভোকেট হুসাইন মুহাম্মাদ আশরাফুদ্দিন, সিরাজগঞ্জ সদরে জেলা জামায়াতের প্রচার ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শেরপুরের শ্রীবরদীতে জেলা জামায়াতের সাবেক আমির নুরুজ্জামান বাদল, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপজেলা জামায়াত নেতা আব্দুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা জামায়াত নেতা আজিজুর রহমান, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জামায়াতের উপজেলা আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, বাগেরহাটের রামপালে জেলা জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, পিরোজপুরে ইন্দুরকানীতে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মাসুদ সাঈদী এবং পঞ্চগড় সদরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মফিজ উদ্দিন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা হুমায়ূন কবির কালবেলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক উপজেলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কমিটির সঙ্গে সভাও হয়েছে। এর আলোকে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে।’ রায়পুর উপজেলা থেকে জামায়াতের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা নাজমুল হুদা বলেন, ‘জামায়াত সাংগঠনিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করবে।’ এ সময় তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। (প্রতিবেদনের জন্য তথ্য দিয়েছেন কালবেলার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা)
সৌজন্যে: কালবেলা।