খেলাফত মজলিসের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলীর দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২৪, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন মাওলানা সৈয়দ মুজ্জদ্দেদ আলী (৬৫) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজর হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা সম্মন্ন হয়। জানায়ার নামাজে ইমমতি করেন জেলার শীর্ষ আলেম ও বরুনার পীর শায়খুল হাদিস মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমান। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা গ্রামে জামেয়া লুৎফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শ্বশুর বরুণার পীর শায়খুল হাদিস মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমান এর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলীর মৃত্যুর খবরে পরিবার, স্বজন, জেলার আলেম সমাজ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক,বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন এবং খেলাফত মজলিশের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নামে।
মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ২৯ মার্চ সকাল ৬ টার দিকে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দেদ আলী ইন্তেকাল হন। দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। প্রায় ৮ মাস পূর্বে তাঁর শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধী ক্যান্সার। এর পর মৌলভীবাজার ও ঢাকার হাসপাতালে চলে নানা চিকিৎসা। সর্বশেষ শরীরের অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা ভর্তি করান ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে।
মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলীর চাচাতো ভাই সৈয়দ মহসিন পারভেজ জানান, শুক্রবার ইফতারের কিছু আগে ঢাকা থেকে মরদেহ এসে পৌঁছায় মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ধরকাপনের বাড়িতে। রাত সাড়ে ১০ টায় জানাজার নামাজ শেষে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা গ্রামে জামেয়া লুৎফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শ্বশুর বরুণার পীর শায়খুল হাদিস মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমান এর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী জেলার শীর্ষ আলেম ও বরুনার পীর শায়খুল হাদিস মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমান এর জামাতা। ৬ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী তৃতীয়। তিনি মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মরহুম সৈয়দ মোস্তাকিম আলী, আওয়ামীলীগ নেতা ও পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সৈয়দ মুফসিল আলীর ভাই।পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। তাঁর বড়ছেলে মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ আতহার বরুণা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। ২ মেয়ে পারিবারিকভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
তিনি আশির দশকে দেশের শীর্ষ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান চট্রগ্রামের দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (টাইটেল) সম্পন্ন করেন। ১৯৯০ সালে জেলা শহরে প্রতিষ্ঠিত অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা জামেয়া দ্বীনিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক সচেতন একজন দল পাগল মানুষ হিসেবে দীর্ঘ সময় রাজপথ ও দলীয় অঙ্গণে ভুমিকা রাখায় ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে দলটির শহর সভাপতির দ্বায়িত্বও পালন করেন তিনি। দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রভাগে বেশ সক্রিয় নেতৃত্ব দেন।