বার্মিংহাম আল ইসলাহর উদ্যোগে রামাদানের তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
রামাদান আল্লাহর নৈকট্য লাভ, আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের উৎকৃষ্ট মৌসুম: মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ মার্চ ২০২৪, ১:১৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে মিডল্যান্ডস ডিভিশনের আওতাধীন বার্মিংহাম শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রামাদানের তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার ও সদ্য প্রয়াত বার্মিংহামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব নাসির আহমদের মাগফিরাত কামনায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বার্মিংহাম বাংলাদেশ মাল্টিপার্পাস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনার ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বার্মিংহামের দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের প্রিন্সিপাল ও আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে মিডল্যান্ডস ডিভিশনের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রহমত, বরকত ও নাজাতের মহা বারতা নিয়ে রামাদান আমাদের মাঝে সমাগত। মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে রামাদান আমাদের জন্য এক বড় নেয়ামত। এটি আল্লাহর করুণা ও নৈকট্য লাভের উত্তম সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জন আর আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। তাই আমাদেরকে এ মাসে বেশি বেশি ইবাদতগুজার হওয়ার পাশাপাশি হিংসা-বিদ্বেষ, গীবত সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এ মাসে সিয়াম সাধনা, ইফতার, সেহরি, তারাবিহ, কিয়ামুল লাইল সবকিছুতে অধিক সাওয়াব ও রহমতে ভরপুর। তাই আমরা যেন এসকল সাওয়াব ও রহমত থেকে বঞ্চিত না হই সেদিকেও খেয়াল দিতে হবে।
তিনি রামাদান ও সিয়াম শব্দ দুটির বিশ্লেষণ করে বলেন, শাব্দিক অর্থানুসারে রামাদান মানুষের গুনাহ সমূহ জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়ে মানুষকে পাপ মুক্ত করে। তাই রামাদানে একনিষ্ঠ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পাপমুক্ত হতে হবে, সাথে সাথে সমাজকেও পাপমুক্ত রাখতে হবে। অপরদিকে সিয়াম শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা। কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম নয়; বরং পাপ-পঙ্কিলতা, অসারতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকা সিয়াম সাধনার অন্যতম দাবি। তিনি সদ্য প্রয়াত লতিফিয়া ফুলতলী কমপ্লেক্সের অন্যতম ফাউন্ডার মেম্বার , বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব নাসির আহমদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙ্গালি কমিউনিটির এক অভিভাবক। বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও দ্বীনি কার্যক্রমে তাঁর সহযোগিতা সবসময়ই ছিল উদার চিত্তে। তাঁর কাছে বিভিন্নভাবে আমরা ঋণী। আমরা তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে এ দুআ করছি আল্লাহ যেন তাঁকে ক্ষমা করে জান্নাতের আলা মাকাম দান করেন।
বার্মিংহাম আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা বদরুল হক খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমডি শামীম আহমদ রুমেলের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারের সেক্রেটারী ফয়জুর রহমান চৌধুরী এমবিই , আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের উপদেষ্টা এমদাদ হোসাইন, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে মিডল্যান্ডস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা রুকনুদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী , তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইন জায়েদ, গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ইউকের সেক্রেটারী খছরু খান, বাংলাদেশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুল আলম চৌধুরী মাখন, বিশিষ্ট সাংবাদিক রিয়াদ আহাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, আলহাজ আব্দুল গাফুর, বিশিষ্ট কলামিষ্ট শেবুল চৌধুরী, মাওলানা নোমান আহমদ, মাওলানা আতিকুর রহমান, হাফিজ আলী হোসাইন বাবুল , রুকন আহমদ,কারী আবুল খয়ের , হাজী সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। পরিশেষে মিলাদ শরীফ এবং বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি হয়।