দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবিবাহিত সিলেটে!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২২, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক::
বাংলাদেশের সকল বিভাগের মধ্যে অবিবাহিত লোকসংখ্যা বেশি সিলেটে। এমন তথ্য ওঠে এসেছে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে অবিবাহিত বেশি সিলেটে, বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে।
দেশে এবার পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ন ব্যুরোর (বিবিএস)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা হয়। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে অবিবাহিত লোকসংখ্যা বেশি সিলেট বিভাগে। এখানে ৩৭.৭৭ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত। এ ছাড়া বিবাহিত ৫৫.৫৯ শতাংশ, বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৮১ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪৩ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৯ শতাংশ মানুষ।
রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিতের সংখ্যা ২৪.৩৮ শতাংশ। তবে বিবাহিতের সংখ্যায় এ বিভাগ শীর্ষে। এখানে ৬৮.৯৭ শতাংশ বিবাহিত। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক রয়েছে ৫.৬৬ শতাংশ। তালাকের হারও বেশি রাজশাহীতে, যা ০.৬১ শতাংশ। দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৭ শতাংশ মানুষ।
ঢাকায় ২৮.৯৩ শতাংশ অবিবাহিত, বিবাহিত ৬৫.৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক রয়েছে ৪.৬৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন রয়েছে ০.৩২ শতাংশ।
চট্টগ্রামে ৩২.৫৭ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬১.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক রয়েছে ৫.১৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৩০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন রয়েছে ০.৩২ শতাংশ।
বরিশালে ২৭.২০ শতাংশ অবিবাহিত, ৬৬.৬৬ শতাংশ বিবাহিত। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৫৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.২৯ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩১ শতাংশ।
খুলনায় অবিবাহিত ২৪.৫২ শতাংশ, বিবাহিত ৬৮.৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৬২ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৫৫ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৪৬ শতাংশ।
ময়মনসিংহে ২৭.৭৫ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৫.৭৪ শতাংশ। এর বাইরে বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৭৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৫ শতাংশ মানুষ।
এবং রংপুর বিভাগে অবিবাহিত লোকসংখ্যা ২৫.৭৮ শতাংশ, বিবাহিত ৬৭.৬৫ শতাংশ। এ ছাড়া বিধবা বা বিপত্নীক ৫.৮৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৩ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৫ শতাংশ মানুষ।