মানুষ বিপদে পড়েছে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০২২, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গতমাসের ১৬ তারিখ থেকে বন্যায় প্লাবিত। শুরু থেকে থেকে আমরা সিলেটে আছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিপন্ন মানুষের কাছে যাওয়ার। চোখের সামন দিয়ে অনেক ভয়াবহ ঘটনা দেখেছি। কিন্তু আমরাও মানুষ। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা চাইলেও সকল মানুষের দুঃখ দূর্দশায় শরিক থাকা সম্ভব নয়। কারো জন্য কিছুটা করেছি, তাদের জন্য দোয়া করেছি আল্লাহ যাতে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। আবার যাদের কাছে যেতে পারিনি আমরা চেষ্টা করতেছি তাদের কাছে যাওয়ার। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
১৭ জুলাই (রবিবার) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে নিজ এলাকায় বানবাসী মানুষের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় ও উপহার সামগ্রি বিতরণ করেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত বলেন, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলছেন, তোমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমদের কাজ হলো তোমরা মানুষের বিপদে সাহায্য করবে, সৎ কাজ করবে, অসৎ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখবে। আর এই কাজটি করতে গেলে সবার আগে নিজেকে ভালো মানুষ হতে হবে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ঈমান রাখতে হবে। রাসূল (সা.) বলেছেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সবচেয়ে ভালো যে মানুষের ভালোর জন্য পেরেশান হয়ে কাজ করে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যারা আছেন তাদের একটি অংশ এই অবস্থা কাঠিয়ে উঠতে পারবে। তাদের সেই সামর্থ আছে। আমাদের কাজ হলো যাদের অবস্থা ভালো নয় তাদেরকে অধিক মায়া করা, তাদের কাছে যাওয়া, তাদের খোঁজ খবর নেয়া এবং তৌফিক অনুযায়ী সাহায্য করা।
এলাকায় বিপর্যস্ত মানুষের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে মানুষ বিপদে পড়েছে তাদের যাতে আমরা ভুলে না যাই। যার যেটুকু তৌফিক আছে, আর না হয় ১প্যাকেট বিস্কুট হাতে নিয়ে তাদের পাশে দাড়ান। আমরা এই, বন্যার সময় দেখেছি কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন। তাদের কাছে হাটুপানি, বুকপানি এবং গলাপরিমাণ পানি ভেঙে গিয়ে ১প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছি। এটা পেয়ে তারা কি পরিমাণ খুশি হয়েছে। আল্লাহু আকবার। একদিন, দুইদিন চলে গেছে নিজে কিছু খাননি, ছেলে সন্তানদের মুখে কিছু দিতে পারেননি। অথচ এরা এমন মানুষ জীবনে কারও কাছে হাত পাতেননি কিন্তু এখন বিপদে পড়েছেন। এই যে সাময়িক বিপদ কেটে যাবে, কিন্তু আমরা যা করব তা মনে থাকবে মানুষের হৃদয়ে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মু. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান, নায়েবে আমীর মাওঃ আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, কুলাউড়া উপজেলা আমীর আব্দুল হামিদ খান, সেক্রেটরী মো. আব্দুল মুন্তাজিম ও রাজানুর রহিম ইফতেখার প্রমুখ।