বন্যায় পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২২, ৮:২৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখনো পানিতে নিমজ্জিত। হাসপাতাল প্লাবিত হওয়ার সেখানে রোগাক্রান্ত মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর মিলনস্থলে জোছনা বেগমের বাড়ি। বন্যার পানি ঘরে ডুকে সবকিছু ডুবে গেছে। নিজেও রয়েছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। শুধু জোছনা বেগম নয়। মৌলভীবাজারে কাওয়াদিঘির পাড় ও হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত আটদিনে পানিবাহিত রোগে ৭৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ডায়রিয়ায় ৪৯ জন, চর্মে ৫০ জন, জ্বরে ১৪ জন, চোখের ভাইরাস ১২ জন, চোখে আঘাত প্রাপ্ত ছয় জন, সাপে কাটা চারজন, অন্য রোগে ৩৭ জনসহ মোট ১৭২ জন শিশু, নারী ও পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ৭৩০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যায় মৌলভীবাজারে সাতটি উপজেলা ও ৪১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬০ হাজার ১১টি পরিবারের ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ সদস্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ১৩ হাজার ২৬০টি ঘরবাড়ি ও ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। ৪০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।