মৌলভীবাজার টাউন ঈদগাহে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ছয়টায়
প্রকাশিত হয়েছে : ২ মে ২০২২, ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারবাসীর জন্য প্রস্তুত আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ সদ্য সংস্কার হওয়া জেলার সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম টাউন ঈদগাহ। এই ঈদগাহ এবং ঈদগাহ প্রাঙ্গণে একসাথে লক্ষাধীক মানুষ এবারের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবেন।
ঈদগাহের মূল মাঠে প্রতি জামাতে এক সাথে প্রায় ১৪ হাজার মুসল্লী অংশ নিতে পারবেন। তবে মাঠ ও মাঠের বাহিরের মূল সড়ক মিলে একসাথে অর্ধ লক্ষ মুসল্লী জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মোট তিনটি জামাতে লক্ষাধীক মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
একমাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদগাহে আনন্দে উৎসবের সাথে মানুষ ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করবেন, সে লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা মাজার সংলগ্ন নান্দনিক এই ঈদগাহটি।
মৌলভীবাজার পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলা সংস্কার কাজ শেষ হয়ে এখন পুরোপুরি ঈদগাহটি প্রস্তুত ঈদ জামাতের জন্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদগাহে ৪৮ কাতারে জামাত অনুষ্ঠিত হতো, মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে ঈদগাহ বর্ধিত ও সংস্কার করে এটি করা হয়েছে ৯০ কাতার। এতে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। পূর্বের ৪৮ এবং নতুন ৪২ নিয়ে মোট ৯০ কাতারে হবে এবারের ঈদের জামাত। প্রতি কাতারে স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ জন নামাজ পড়তে পারেন। নব্বই কাতারে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে ঈদগাহটিতে।
শহরের ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা সর্বাত্মক অর্থ সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এমনকি সর্বস্তরের মানুষ অর্থ দিয়ে সহায়তায় এগিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।
তিনি আরও জানান, সংস্কার হওয়া ঈদগাহের নির্মাণকাজে দেশ-বিদেশ থেকে আমদানি করা মূল্যবান দামি দামি মার্বেল পাথর দিয়ে এর মিম্বর, গম্বুজ ও বেশ কয়েকটি মিনারসহ বড় দুটি ফটক প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদগাহের পুরো নির্মাণ শৈলীতে সৌদি আরব সহ, মধ্যপ্রাচ্য, মিশর, মালেশিয়াসহ আরব দেশগুলোর স্থাপত্যশৈলীর আংশিক অনুসরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শ্রমিকরা ঈদগাহের বাহিরের সড়কে তোরণ নির্মাণ ও লাইটিং কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে বর্ধিত অংশ ছাড়াও ঈদগাহের বাহিরের মূল সড়কে বিশাল প্যান্ডেলের কাজও চলমান রয়েছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের তিনটি প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে এই ঈদগাহে। ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৬টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ও সবশেষ তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্টিত হবে। এতে প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন শহরের দেওয়ানি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ মুহিদ উদ্দিন, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন, পশ্চিমবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ মুহিবুর রহমান ও সবশেষ তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন সুলতানপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব বরেণ্য আলেম মুফতি মাওলানা শামসুজ্জোহা।
ইতিমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ ঈদ জামাত সুষ্টুভাবে সম্পন্নের লক্ষে বিশিষ্ট নাগরিকসহ আলেম ও ইমামদের সাথেও মতবিনিময় রেছেন।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, নামাজের নির্দিষ্ট আসন পূর্ণ হলে পরবর্তী জামাতে অংশ নেয়ার জন্য ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। মুসল্লিরা যেনো নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত সম্পন্ন করতে পারে এ জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহ অন্যান্য সমস্যা হলে এর বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।