ফ্লাওয়ার্স মাতালেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ তারকারা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ এপ্রিল ২০২২, ৪:২৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
অভিনয় আর নাচ গানে মৌলভীবাজারে মঞ্চ মাতালেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ তারকারা। শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ফ্রুটিকা প্রেজেন্টস আনন্দমঠ’ মঞ্চে উঠেন তারা। মঞ্চে উঠেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটকের অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম, মোঃ সাইদুর রহমান পাভেল।
এসময় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ দর্শকসারী থেকে একজন মেয়েকে রোকেয়া ও একজন কাবিলা মঞ্চে তুলেন। তারা অভিনয় করে দেখা কাবিলা ও রোকেয়ার মধ্যে ফোনালাপ।
জিয়াউল হক পলাশ বলেন, আজকের এমন আয়োজনে আপনাদের হাততালি আমাদের কাজ করার উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয়।
চাষী আলম হাবু চরিত্রের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহির জাওয়াদকে মঞ্চে তুলেন। সব মিলেয়ে কমেডি আর হাসিতে মাতোয়ারা হয়ে যায় পুরো ফ্লাওয়ার্স প্রাঙ্গন। হাস্যরসে ভরা ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকটি এরইমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি শুরু হয় নাটকটির চতুর্থী সিজন। সেই রেশ থাকতে থাকতে নাটকের এই সদস্যরা এলেন মৌলভীবাজার।
শুধুইকি তাই মঞ্চকে মাতিয়ে তুলেন কন্ঠশিল্পি শাফিন আহমদ, দাগ ব্যান্ড ও ইত্যাদি মাতোয়ারা তুসিবা।
মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের চেনা স্কুল প্রাঙ্গণে আরেকবার ফিরলেন সবাই। কাঁধে ব্যাগ কিংবা পরনে স্কুলের পোশাক না থাকলেও সবাই এক দিনের জন্য হয়ে গেলেন স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী। ৪০ বছর পুর্তি ও পুনর্মিলনী উৎসবে এমন একটি দিন পার করেছেন এখানকার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ফেলে আসা সময়ে আরেকবার ফিরিয়ে নিতেই এই উৎসবের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। সকালে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শামীম আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, ইস্টকোস্ট প্রুপের পরিচালক সেলিনা চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, সাবেক প্রিন্সিপাল সুরাইয়া বেগম চৌধুরী, সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল সৈয়দা ইসমত আরা প্রমুখ।
বিকেলে ছিল স্মৃতিচারণামূলক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা প্রশাসক মোখলেস রহমান। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করেন। এরপরই সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতেছিলেন।
রাতের কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
উদ্যাপন কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা হানিফ মোহাম্মদ রাজু বলেন, অনেক চেষ্টার পর ৪০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করা হলো। সাত শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিলেন। প্রায় সবাই এসেছেন। উৎসব আনন্দময় করতে ব্যান্ড দলের গান ও নাটকের আয়োজন ছিল। সবাই মিলে খুব আনন্দ করে দিনটি কাটানো হয়েছে।
বর্ষপুর্তি ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা সব প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করেছি। অনেকের সঙ্গে অনেক দিন ধরে দেখা নেই। এই আয়োজনে পুরোনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। তাঁদের পেয়ে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ছে।