এমপি আব্দুস শহীদের গাড়ি বহরে হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ জানুয়ারি ২০২২, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রধান নিবার্চনী কাযার্লয়ে ও স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছেন বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকরা।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মুন্সিবাজারে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এমপি অক্ষত অবস্থায় থাকলেও দুই পক্ষের সংঘর্ষে এমপির গানম্যান, গাড়ির চালক ও ব্যক্তিগত একান্তসহকারীসহ ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এমপিকে নিরাপদে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে সিলেট রেফার্ড করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রহিমপুর ইউনিয়নে পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় এমপি আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইফতেখার আহমদ নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বিদ্রোহী বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেল আহমদ তরফদার। রবিবার রাতে ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠান শেষ করে মৌলভীবাজার ফেরার পথে মুন্সিবাজারস্থ নৌকার প্রধান নিবার্চনী কাযার্লয়ের সামনে আসলে এলাকাবাসীর অনুরোধে চা খাওয়ার সময় বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদার তার সমর্থকদের নিয়ে নৌকার প্রধান নির্বাচনী অফিসে হঠাৎ আচরণবিধি অজুহাতে অর্তকিতভাবে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তখন অফিসে বসা নৌকার লোকজন এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলার সময় অফিসের সাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাহিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুনেল আহমদের সমর্থকরা অফিসের সামনে রাখা এমপির গাড়িতে লাটিসোটা দিয়ে আঘাত করে। সমর্থকদের হামলায় এমপি আবাদুস শহীদের গানম্যান তরিকুল, গাড়িচালক স্বপন, ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ইমাম হোসেন সোহেল, শ্রীমঙ্গলে আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সাইফুলাহসহ ৫ জন আহত হন। তাদের একজনের মাথা ফেটে গেছে এবং একজনের হাত ভেঙে গেছে। পুলিশ এসে আব্দুস শহীদ এমপি নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
পুলিশ কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্ধার করে নিয়ে আসলে গুরুতর আহত গানম্যান তরিকুল, গাড়িচালক স্বপন ও ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ইমাম হোসেনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমপি সাহেব যাওয়ার সময় তার গাড়িতে হামলা করা হয়। তিনি অক্ষত আছেন। তার গানম্যান ও গাড়িচালক আহত। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
তিনি জানান, পুলিশ পরিস্থিস্তি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। মুন্সিবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আহতদের দেখতে কমলগঞ্জ হাসপাতালে অবস্থান করেন। পরে রাত ১২টায় শ্রীমঙ্গল নিজ বাসায় চলে যান। এদিকে ঘটনার পর বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকরা বাজার এলাকা থেকে সরে যান। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আহত হয়েছেন চেয়ারম্যান জুনেল আহমদ তরফদার দাবি করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।