পবিত্র ঈদ-ই-মিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে র্যালী
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২১, ৩:৫২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে হয়রত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) দরগাহ শরীফের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ‘মোবারক র্যালী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে হয়রত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রায় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান এবং পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, দরগাহ মসজিদের ইমাম শামীম আহমদ চৌধুরীসহ আলেম-ওলামা ও মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে শহরে র্যালী বের হয়। পরে এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়াম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। পরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তার মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদগুণের—করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।