ঘর ভাঙ্গার প্রতিবাদে আট দিন ধরে চলছে চা শ্রমিকদের আন্দোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ অক্টোবর ২০২১, ৭:০২ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শ্রী গোবিন্দপুর চা বাগানে চা শ্রমিক শ্রীজনম ভর (৬৫) এর নির্মিত ঘর ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তর (ডিডিএল) অফিসে মালিকপক্ষের অসহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকেও সমঝোতা হয়নি।
রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে চা-শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে মালিকপক্ষের ভাড়াটে লোকজনের সশস্ত্র হুমকির কারণে শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েক গত শুক্রবার বিকেলে নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেন।
শ্রীগিন্দপুর চা বাগান ব্যবস্থ্পাকের মৌখিক অনুমতিতে চা শ্রমিক শ্রীজনম ভর (৬৫) তার বসতঘরের সামনে সড়কধারে একটি পাকা ঘর ঘরটি নির্মাণের পর চা বাগানের মালিকের নির্দেশনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে চা-বাগান ব্যবস্থাপক ও ভাড়াটে কিছু লোকজন নিয়ে এসে নির্মিত এ পাকা ঘরটি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। এর প্রতিবাদে ও ঘর নির্মাণের দাবিতে গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানে সাধারণ চা-শ্রমিকরা মানববন্ধনও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। গত শনিবার ( ২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানে অষ্টম দিনের মত কমলগঞ্জ-বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান সড়কের চা-বাগান প্রধান ফটকের সামনে এ মাববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নারী শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানু, শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক, সাধারণ সম্পাদক শ্রীরাম ব্যক্তি, নারী নেত্রী গায়ত্রী পাশিসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ভেঙ্গে ফেলা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া ও চা-শ্রমিকদের বন্ধ রাখা মজুরি প্রদানের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দরা আর বলেন, সমস্যা সমাধানে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি পত্রের মাধ্যমে ৩০ সেপ্টেম্বর তার কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় জরুরী সভা আহ্বান করেছিলেন। সভায় শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপক প্রমান্ত রায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও চা বাগান পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সে সভায় আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের বন্ধ রাখা মজুরি প্রদান ও ভেঙ্গে ফেলা ঘরের বিষয়ে মালিকপক্ষ আন্তরিকভাবে সমাধানের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হলেও মালিক পক্ষের প্রতিনিধি শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপক কোন প্রকার সিদ্ধান্ত জানাননি। ফলে এ বৈঠকে কোন সমঝোতাও হয়নি। শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জ থানায় শুক্রবার একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে চা-শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে মালিকপক্ষের ভাড়াটে লোকজনের সশস্ত্র হুমকির কারণে শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েক গত শুক্রবার বিকেলে নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেন।
শ্রীগিন্দপুর চা বাগান ব্যবস্থ্পাকের মৌখিক অনুমতিতে চা শ্রমিক শ্রীজনম ভর (৬৫) তার বসতঘরের সামনে সড়কধারে একটি পাকা ঘর ঘরটি নির্মাণের পর চা বাগানের মালিকের নির্দেশনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে চা-বাগান ব্যবস্থাপক ও ভাড়াটে কিছু লোকজন নিয়ে এসে নির্মিত এ পাকা ঘরটি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। এর প্রতিবাদে ও ঘর নির্মাণের দাবিতে গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানে সাধারণ চা-শ্রমিকরা মানববন্ধনও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। গত শনিবার ( ২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানে অষ্টম দিনের মত কমলগঞ্জ-বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান সড়কের চা-বাগান প্রধান ফটকের সামনে এ মাববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নারী শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানু, শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক, সাধারণ সম্পাদক শ্রীরাম ব্যক্তি, নারী নেত্রী গায়ত্রী পাশিসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ভেঙ্গে ফেলা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া ও চা-শ্রমিকদের বন্ধ রাখা মজুরি প্রদানের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দরা আর বলেন, সমস্যা সমাধানে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি পত্রের মাধ্যমে ৩০ সেপ্টেম্বর তার কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় জরুরী সভা আহ্বান করেছিলেন। সভায় শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপক প্রমান্ত রায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও চা বাগান পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সে সভায় আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের বন্ধ রাখা মজুরি প্রদান ও ভেঙ্গে ফেলা ঘরের বিষয়ে মালিকপক্ষ আন্তরিকভাবে সমাধানের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হলেও মালিক পক্ষের প্রতিনিধি শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপক কোন প্রকার সিদ্ধান্ত জানাননি। ফলে এ বৈঠকে কোন সমঝোতাও হয়নি। শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জ থানায় শুক্রবার একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে অপরিচিত ১০/১২ জন সশস্ত্র লোক তার বাড়ির পিছনে ঘোরাফেরা করছিলেন। বাগানের পাহারাদারসহ তিনি রাতে বের হয়ে তাদের ধাওয়া করলে চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকায় গিয়ে এসব অপরিচিত লোকজন হাতে থাকা দা ও রামদা দেখিয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তিনি মনে করেন, চা-বাগান মালিকপক্ষের ভাড়াটে সশস্ত্র লোক তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে। তাই তিনি গত শুক্রবার বিকেলে নিরাপত্তা চেয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক প্রশান্ত রায় ৩০ সেপ্টেম্বর ডিডিএল অফিসে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সেখানে কোন সমাধান হয়নি। তিনি মনে করেন, শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের বাহিরের কিছু নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে ঘোলাটে করছেন। তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের (চা বাগান মালিকের) নির্দেশনা ছাড়া তার পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত দেবার নেই।
বাংলাদেশ চা-শ্রমকি ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলন ও পঞ্চায়েত সভাপতির জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটিকে ইচ্ছে করেই মালিকপক্ষ হিংসাত্বক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে এর পরিনাম তাকে বইতে হবে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েকের জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই জটিল। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করছি।
শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক প্রশান্ত রায় ৩০ সেপ্টেম্বর ডিডিএল অফিসে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সেখানে কোন সমাধান হয়নি। তিনি মনে করেন, শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের বাহিরের কিছু নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে ঘোলাটে করছেন। তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের (চা বাগান মালিকের) নির্দেশনা ছাড়া তার পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত দেবার নেই।
বাংলাদেশ চা-শ্রমকি ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলন ও পঞ্চায়েত সভাপতির জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটিকে ইচ্ছে করেই মালিকপক্ষ হিংসাত্বক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে এর পরিনাম তাকে বইতে হবে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েকের জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই জটিল। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করছি।