কমলগঞ্জে ৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন, ভোগান্তিতে ৭০ হাজার গ্রাহক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২১, ৬:২২ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কুলাউড়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) ও পাওয়ার ডেভেলপম্যান্ট বোর্ড (পিডিবি) মাঝে দীর্ঘদিন ধরে আভ্যন্তরীন বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের সমন্বয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের মাঝে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে টানা পৌনে ৯ ঘণ্টা ৩ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত পবিসের ৭০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ফলে গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
জানা যায়, পিডিবির গ্রীড থেকে পবিস গ্রীডের মাধ্যমে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এসব এলাকায় পবিস অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কুলাউড়া থেকে আসা ৩৩ হাজার কেভি প্রধান বিদ্যুৎ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য পিডিবির সাতে সময় করে সোম আগাম মাইকিং করে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বেলা ৩টার মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হলেও পিডিবি কুলাউড়া গ্রীডের অধীন কুলাউড়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করলেও পবিসের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল পৌনে ৭টা পর্যন্ত। টানা পৌনে ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় পবিসের ৭০ হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
ফলে সকল ব্যাংকে লেনদেনে ও কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। মসজিদগুলোতে অজুর পানি সংকটে মুসল্লীদের বিড়ম্বনার মাঝে পড়তে হয়। অনেকগুলো ডায়গনস্টিক সেন্টারে আগত রোগীদেরও ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়েছে। বাসা বাড়িতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করতে সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকি বাসা বাড়িতেও পানি সংকট ছিল। এমনকি এসব এলাকার ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
ব্যবসায়ী আব্দুস সামাইল বলেন, পবিসের সেবা ও পিডিবির সেবার মানে অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রায়ই পিডিবির কাছে পবিস গ্রাহকদের জিম্মি হতে হয়। পিডিবি পবিসের ৭০ হাজার গ্রাহকের সাথে অমানবিক আচরণ করেছে। এ দিন তারা কোন স্বাভাবিক কাজ করতে পারেননি। একই অভিযোগ করেছেন শমশেরনগর পূবালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক আবুল খায়ের মো. ইকবাল ও সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক রিপন মজুমদার।
কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালযের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মীর গোলাম ফারুক বলেন, পিডিবি কুলাউড়ার সাথে সমন্বয় করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রক্ষাবেক্ষণ কাজ করা হয়। কাজ শেষ হলেও পিডিবি কুলাউড়া গ্রীড থেকে শুধু তাদের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। পবিস পিডিবির ক্লিয়ারেন্স নিয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হলেও পিডিব ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে তাদের উর্দ্ধত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পিডিবির উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঝে আলোচনা শেষে অবশেষে ক্লিয়ারেন্স পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
পিডিবির কুলাউড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী উসমান গনি মোবাইল ফোনে বলেন, উভয়পক্ষের সমন্বয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষে পিডিবির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। কি কারণে পবিস তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি তা জানা নেই।