কমলগঞ্জে বন্ধে হচ্ছে না টিলা কাটা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২০, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি স্থানে টিলা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ, মাটি বিক্রি, কৃষিজমি তৈরি করা হচ্ছে। বনের টিলা ঘেষা ব্যক্তিগত এসব পাহাড়ি টিলা কেটে নিশ্চিহ্ন করছেন স্থানীয়রা। প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বন্যপ্রাণী এলাকা সংলগ্ন এসব প্রাকৃতিক টিলা অবাধে কাটা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা, সরইবাড়ি, মধ্য কালাছড়া, বড়চেগ গ্রাম এলাকায় প্রাকৃতিক টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে তারা টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করছেন। বনের পার্শ্ববর্তী টিলা থাকায় এসব এলাকায় বন্যপ্রাণি চলাচল ও খাবার সংগ্রহে বিচরণ করে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা থাকায় স্থানীয়রা এসব উঁচু টিলা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ, মাটি বিক্রি, কৃষিজমি তৈরি ও মাটি দিয়ে পুকুর ভরাট করছেন। নিজস্ব সম্পত্তিতে টিলা হলেও
টিলাকাটার বিষয়ে প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজনবোধ মনে করছেন না স্থানীয় লোকজন। বাদে উবাহাটা গ্রামের দ্বীন ইসলাম, আব্দুল মালিক, ইব্রাহিম মিয়া, মধ্য কালাছড়ার আব্দুর রশীদ ব্যক্তিগত কাজে ও সরইবাড়ি এলাকার কয়েকটি স্থানে টিলা কাটা চলছে। বসতি তৈরির জন্যে অবৈধভাবে টিলা কাটতে গিয়ে কয়েকমাস আগে করিমবাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় টিলার মাটি ধ্বসে জলিকা নামে এক মহিলা মারা যান। প্রাণি, উদ্ভিদ ও জীবজগতের জন্যে পাহাড়, টিলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এক শ্রেণির মানুষের আগ্রাসী ভূমিকা পরিবেশকেও বিনষ্ট করছে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরেজমিন সার্ভেয়ারের মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। তবে টিলা কাটার সাথে জড়িত স্থানীয়দের দাবি, এসব টিলা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি থাকায় নিজেদের প্রয়োজনে কেটে ফেলছেন। এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, সরেজমিন গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি তবে অনেক দিনের পুরানা টিলাকাটা রয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।