কুরআন ছুয়েঁ ভাবীকে বিয়ে, বড় ভাইকে হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ২ মে ২০২০, ২:২৩ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আপন ভাবীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক। অতঃপর কুরআন ছুঁয়ে মনে মনে একে অন্যকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতেন না বড় ভাই মেরাজ। যখন জানলেন তখন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বসেন ছোট ভাই বদরুল। অবশেষে প্রাণ দিতে হলো মেরাজকে (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়েনের আনিকেলি গ্রামে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ভাই হত্যার বর্ণনা দিয়েছে বদরুল (২৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১ মে) শুক্রবার বিকালে একটি খাল থেকে মেরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এটি হত্যাকান্ড হিসাবে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে বদরুলসহ মেরাজের অপর ভাইদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এসময় বদরুলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে বদরুল বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশের কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদে সে ভাই হত্যার দায় স্বীকার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বদরুল জানায়, আপন বড় ভাই মেরাজের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বদরুলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। গত বছর দুয়েক আগে তারা কোরআন ছুঁয়ে মনে মনে একে অন্যকে বিয়ে করে। কথিত এই বিয়ের বিষয়টি ৩/৪ দিন আগে জানতে পারেন মেরাজ। এ নিয়ে স্ত্রী ও ভাই বদরুলের সাথে ঝগড়া হয় মেরাজের। ঝগড়ার পর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ী চলে যান মেরাজের স্ত্রী। এদিকে বদরুল বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় মেরাজকে হত্যার জন্য ফন্দি করে। গত বৃহস্পতিবার ইফতার করে মেরাজ বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টার দিকে যখন বাড়ি ফিরবেন তখন পূর্ব থেকে ওতপ্রেতে থাকা বদরুল প্রথমে মেরাজের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আরো আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
হত্যাকান্ডের বলি মেরাজ একটি মৎসখামারের শ্রমিক। এর আগে তিনি দুবাই প্রবাসী ছিলেন। তার একটি ১০ বছরের মেয়ে ও ৫ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের এএসপি (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান পূর্বদিককে বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বদরুল জানায়, একদিকে ভাবি অন্যদিক কুরআন ছুঁয়ে (কথিত) বিয়ে করায় সে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছিল। এই যন্ত্রনা থেকেই সে ভাইকে হত্যা করে। বর্তমানে আসামী বদরুল পুলিশের হেফাযতে আছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।