চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে গোলটেবিল বৈঠক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
শহর প্রতিনিধি ::
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে এবং দৈনিক নগদ মজুরি নূন্যতম ৪০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে মৌলভীবাজারে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক হয়।
বৈঠকে চা শ্রমিক ফেডারেশন মৌলভীবাজার জেলা সংগঠক বিপ্লব মাদ্রাজী পাশীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য কিরন শুল্ক বৈদ্যের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিকফ্রন্টের সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন।
চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দ্বীপংকর ঘোষ ধারনাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে বৈঠক শুরু হয়। এছাড়াও বৈঠকে আলোচনা করেন বাসদ মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক অ্যাড. মঈনুর রহমান মগনু, হবিগঞ্জ বাসদ সমন্বয়ক অ্যাড. জুনায়েদ আহমেদ, সিলেট জেলা বাসদ সমন্বয়ক আবু জাফর, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির সদস্য জহর লাল দত্ত, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নিহারেন্দু হোম সজল, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি আকমল হোসেন নিপু, ডেইলি স্টার জেলা প্রতিনিধি মিন্টু দেলোয়ার, প্রভাষক জলি পাল, লাউয়াছড়া রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম-আহবায়ক কাজী শামসুল হক, সিলেট জেলা শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা প্রণব জ্যোাতি পাল, স্বাধীনতা স্যানেটারী পরিষদের উপদেষ্টা এম খসরু চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক জাবেদ ভুইয়া, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, বাসদ সিলেট বিভাগের সদস্যবৃন্দ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, চা শ্রমিকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম আদায় করে মালিকপক্ষ তাদের তুলনামূলক কম মজুরি দিচ্ছে। অথচ যে শ্রমিক সারাজীবন চা বাগানে কাজ করে বৃদ্ধ বয়সে তার কোনও উপার্জন থাকে না, জমানো টাকা থাকে না ।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের জন্য শুধু সহানুভূতিই পর্যাপ্ত নয়, তাদের ন্যায্য মজুরিও নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য সবার মনেই সহানুভূতি-সমবেদনা আছে, এখন তাদের দাবি আদায়েও আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।