শরীফপুর সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ মিলন সম্প্রীতি উৎসব
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ জানুয়ারি ২০২০, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ মননে স্মরণে ভারত-বাংলাদেশের মিলন সম্প্রীতি উৎসব হয়েছে। মৌলভীবাজারের শরীফপুর সীমান্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৬ জানুয়ারি সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কৈলাশহরের আশ্রয় সামাজিক সংস্থার আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আশ্রয় সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে ১০দিন ধরে কৈলাশহরের বিদ্যানগর ক্রিকেট মাঠে সংহতি মেলার চলছিল। মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশের দুই লোক সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নীসহ বাংলাদেশের সাংবাদিকদেরকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সাবেক গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী ও আশ্রয় সামাজিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা, উনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামানসহ অতিথিরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বাংলাদেশের কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশেরে দুই সংগীত শিল্পী, সাংবাদিকসহ অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে ও লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করা হয়।
বাংলাদেশের শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। ভারতীয় ক্ষুদে শিল্পীরা ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। ভারতীয় ক্ষুদে শিল্পীরা একটি নৃত্য ও যোগ ব্যায়াম প্রদর্শন করে। ভারতীরা বাংলাদেশের অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করেন। সাথে সাথে বাংলাদেশী সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে ত্রিপুরার সাবেক মন্ত্রী বিরজীৎ সিনহা ও উনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় উৎসব স্থল ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের এক মিলন মেলায় পরিনত হয়।
ত্রিপুরার সাবেক মন্ত্রী বিরজিত সিনহা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালের আগে আমরা একই দেশের নাগরিক ছিলাম। পাকিস্তান ভারত ভাগ হয়ে যায়। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সে সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল। এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিকতা, ক্রীড়া সবই এক। তবে দুই দেশ হওয়ায় মাঝখানে কাটা তারের বেড়া। তবে সম্প্রীতি অটুট আছে। আগামীতে আরও বড় আকারে সম্প্রীতি মেলার আয়োজন করা হবে আর তখন আরও বাংলাদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
কৈলাশহরের সাংবাদিক সুকান্ত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্যে সাংবাদিক অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবর্তী ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার সমরু মিয়া।
উৎসব শেষে বিকাল পৌনে ৫টায় বিশেষ ব্যবস্থায় সম্প্রীতি উৎসবে যোগদানকারী সাংবাদিকসহ অতিথিরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। আর সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী ও আইরিন মুন্নী কৈলাশহরের বিদ্যানগর ক্রিকেট মাঠের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলে রাতে সংগীত পরিবেশনের জন্য ত্রিপুরার কৈলাশহরে অবস্থান করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী সাংবাদিক ও সঙ্গীত শিল্পীদের আশ্রয় সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কৈলাশহরের আশ্রয় সামাজিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর সিংহ, কৈলাশহর প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত, ধর্মনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।