শীত মওসুমের বৃষ্টিতে চায়ের কুঁড়ি গজাবে দ্রুত
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ জানুয়ারি ২০২০, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শীত মৌসুমের বৃষ্টি চা-গাছের জন্য আশির্বাদে পরিনত হয়েছে। এই বৃষ্টি চা গাছের নিচে প্রায় এক মাস পর্যন্ত পানি ধরে রাখবে মাটি। ফলে নতুন কুঁড়ি দ্রুত ছাড়তে সাহায্য করবে। শুক্রবার চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলায় দিনব্যাপী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে নেমে এসেছিল কনকনে ঠান্ডা । এ ঠান্ডার প্রভাব কয়েকদিন থাকবে।
আবহাওয়া অফিস শ্রীমঙ্গলের ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯ মিলিমিটার। শুক্রবারে তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ম ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টির উপকারীতা সম্পর্কে হামিদিয়া চা বাগানের জিএম গবেষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অসময়ের এ বৃষ্টি চায়ের জন্য খুবই উপকারি। যারা এখন চা ছাটাই করছেন তাদের জন্যও উপকারি। কারণ কৃত্রিমভাবে চা গাছে পানি দিতে হতো। কিন্তু এখন সৃষ্টিকর্তা আশীর্বাদ হিসেবে চা গাছে এটা সরবারাহ করলেন। তাছাড়া সিড নার্সারি বা ভিপি নার্সারির অঙ্গজ বংশ বৃদ্ধি চারার জন্য এ বৃষ্টিপাত বেশি লাভ হবে। এমন বৃষ্টিপাতের ফলেই চায়ের উৎপাদন চলতি বছর চায়ের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছে গেছে। এবার ডিসেম্বর পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৯৫ মিলিয়ন কেজির উপরে। অর্থাৎ ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশিয় চা সংসদের সিনিয়র টি-প্লান্টার ইবাদুল হক জানান, খুব ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটা চায়ের জন্য বেশ উপকারী। সাধারণত এ মাসে বৃষ্টিপাত হয় না। চা গাছগুলোর গোড়ার মাটি এ বৃষ্টির পানি প্রায় এক মাস পর্যন্ত ধরে রাখবে। যা নতুন কুঁড়ি ছাড়তে সাহায্য করবে।
ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রুনিং বা ছাটাই করা চা গাছে নতুন কুঁড়ি আসতে শুরু করবে। তাড়াতাড়ি উৎপাদন আসবে। বৃষ্টির পানিতে নাইট্রোজেন থাকে, যা আমাদের কৃত্রিম ইরিগেশন চা গাছগুলোতে পাইপের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে পানি দেওয়া থেকে অনেক উপকারী বলে মনে করছেন চা সংশ্লিষ্টরা।