অ্যাপসে আবেদন করে ধান বিক্রির লটারিতে জয়ী ১৫শ কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির লটারিতে জয়ী হয়েছেন ১৫শ কৃষক। বিজয়ীরা ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে সরকারের কাছে ধান বিক্রির সুযোগ পেয়েছেন। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০৪ জন কৃষক ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদন করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিজিটাল পদ্ধতিতে মৌলভীবাজারে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের হল-রুমে লটারির উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার শরীফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কান্তি দত্তসহ সাংবাদিক এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০৪ জন কৃষক অ্যাপসে সঠিকভাবে সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির জন্য অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যম কৃষক নির্বাচন করা হয়। তিন শ্রেণির ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় কৃষক নির্বাচন করা হচ্ছে। যেসব কৃষকের জমির পরিমাণ ৫০ থেকে ১৪৯ শতকের মধ্যে, তাঁরা ক্ষুদ্র কৃষক, যাঁদের জমির পরিমাণ ১৫০ থেকে ২৪৯ শতক, তাঁরা মাঝারি কৃষক, আর ২৫০ শতকের বেশি জমির মালিকেরা বড় কৃষক।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধান বিক্রির জন্য এবার পরীক্ষামূলকভাবে মৌলভীবাজার সদরসহ দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি উপজেলায় ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলটিং এ উদ্যোগ সফল হলে সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করবে সরকার।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, একজন কৃষককে মুঠোফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামের ওই অ্যাপ নামিয়ে (ডাউনলোড) করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করেন। এরপর ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান, তা জানিয়ে ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন কররেন। নিবন্ধন, বিক্রয়ের আবেদন, বরাদ্দের আদেশ ও মূল্য পরিশোধের সনদসম্পর্কিত তথ্য এবং বিক্রয়ের জন্য কোন তারিখে, কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে কৃষক জানতে পারছেন। আবেদনকারী বেশি হওয়ায় লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। তবে কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে তিনি এ সেবা নেন। এ পদ্ধতি সফল হলে আগামী বোরো মৌসুমে একই প্রক্রিয়ায় সারা দেশের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করা হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব চন্দ্র দাস জানান, উপজেলায় লটারিজয়ী ১ হাজার ৫০০ কৃষকের মধ্যে ৮৬২ জন ক্ষুদ্র কৃষক, ৪৭০ জন মাঝারি কৃষক এবং ১৬৮ জন বড় কৃষক রয়েছে।