বড়লেখায় ঝোঁপ থেকে সেই মেছো বাঘের ছানাগুলো নিয়ে গেছে মা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখা উপজেলার রাঙাউটি গ্রামে একটি মৎস্য খামারের পাড়ের ঝোঁপে রেখে যাওয়া মেছোবাঘের ৫টি ছানা নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে মা বাঘ।
আজ ১২ ডিসেম্বর ছানাাগুলো মৎস্য খামারের পাড়ের ঝোঁপে আর পাওয়া যায়নি। মৎস্য খামারের মালিক সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন জানিয়েছেন, মা মেছোবাঘই ছানাগুলো নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই-একদিন আগে ছানাগুলোর জন্ম হয়েছে। ছানাগুলোর চোখ এখনও ফুটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাঙাউটি গ্রামে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের বসত বাড়ির কাছে তাদের একটি ব্যক্তিগত মৎস্য খামার রয়েছে। ওই মৎস্য খামারের পাড়ে ব্যাপক ঝোঁপঝাড় রয়েছে। গত (১১ ডিসেম্বর) বুধবার দুপুরে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের রাখাল গরু নিয়ে মৎস্য খামারের পশ্চিম পাড়ের দিকে গেলে গরুগুলো হাক-ডাক, দৌঁড়াদৌঁড়ি ও অস্বাভাবিক আচরণ করে। এসময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালিও চিৎকার শুরু করে।
সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন ঘটনার কারণ খোঁজতে ঝোঁপঝাড়ের দিকে অগ্রসর হন। হঠাৎ ঝোঁপ থেকে মেছোবাঘটি লাফিয়ে উঠলে তিনি ভয়ে চিৎকার করেন। পরে ওই স্থানে গিয়ে ৫টি মেছোবাঘের ছানা দেখতে পান। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ছানাগুলো দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।
সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জানান, ছানাগুলোকে দেখে খুব মায়া হয়। এগুলোর চোখ এখনও ফুটেনি। ছানাগুলো পাওয়ার পর যাতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য তারা সবসময় নজর রেখেছিলেন। রাত দশটায় মৎস্য খামারের পাড়ে গিয়ে দেখেন, ছানাগুলো মা বাঘ নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, খবর পাওয়ার পর বিষয়টি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানিয়েছিলাম। তবে মা বাঘ ছানাগুলো নিয়ে যাওয়ায় বেশ ভালোই হয়েছে। কারণ ছানাগুলো এখনও ছোট। চোখও ফুটেনি। আর মা ছাড়া ছানাগুলো ধরে এনে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করলে হয়তো মারাই যেতো।