কুলাউড়ায় ঠিকাদার কোকিলের দুর্নীতির তদন্ত গোপনে করে গেলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ৫:১১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার, কুলাউড়া ::
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক মুহিবুর রহমান কোকিলের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিভিন্ন কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় পুশাশাইনগর-ভূকশিমইল সড়কে সরেজমিন গোপনে তদন্ত করে গেলেন সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মো. মহসিন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা (এলজিডি) প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক হাসান। তবে তার এই তদন্তে অনেকটা হতাশ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অধিকাংশ লোকজন জানান, কোকিলের দুর্নীতির বিষয়ে সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দিন দুপুরে না এসে হঠাৎ করে সন্ধ্যায় কাউকে না জানিয়ে ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিলের উপস্থিতিতে তদন্ত করায় এই তদন্ত কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা নিয়ে এলাকাবসী সন্দীহান।
তারা আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে অনিয়মকৃত জায়গা পরীক্ষা না করে রাস্তার মধ্যস্থানে শক্ত কার্পেটিং এর জায়গা খুড়ে দায় সাড়া তদন্ত করে চলে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, খবর পেয়ে তারা তদন্ত স্থানে গিয়ে অনিয়মের নানা বিষয় প্রধান প্রকৌশলীর কাছে তুলে ধরলেও উপজেলা (এলজিডি) প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক হাসান ঠিকাদার কোকিলের পক্ষে বার বার সাফাই গান।
উল্লেখ্য, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিল ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুশাইনগর বাজার থেকে ভ‚কশিমইল পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তা, ৭ কোটি টাকা ব্যয় কমলগঞ্জ-মুন্সিবাজার সড়ক, ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় বিয়ানীবাজার-চান্দপুর সড়ক, প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া-চাতলাপুর সড়ক, এছাড়াও কুলাউড়া-ভ‚কশিমইল সড়ক, কুলাউড়া-চান্দগ্রাম ভায়া বড়লেখা সিঅ্যান্ডবি সড়ক কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
কুলাউড়া উপজেলা (এলজিডি) প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক হাসান মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিলের পক্ষে কোন সাফাই গাইনি। যারা বলছে তা আদৌ সত্য নয়। সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী স্যার সরজমিন তদন্ত করে গেছেন। তবে তিনি দিনের শেষ সময় আসায় সংবাদকর্মী কাউকে জানানো সম্ভব হয়নি।