কমলগঞ্জে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে মহাবিষ্ণু মন্দির সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জের আলীনগর চা বাগানে ইটখোলা এলাকায় মহাবিষ্ণু মন্দিরের একটি ঘরে ইসকনের সদস্যরা নামহট্ট সংঘের নামে পূজা অর্জনা করা নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। পরে ইসকন অনুসারী নামহট্ট সংঘের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার আদালতে মহাবিষ্ণু মন্দির কমিটির সদস্যদের উপর পরপর তিনটি মামলা করেন। ৪ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে মহাবিষ্ণু মন্দির কমিটির সদস্যরা কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বিরোধ নিষ্পত্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহাবিষ্ণু মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিরণ বৈদ্য বলেন, ১৯৬২ সালে আলীনগর চা বাগানের ইটখোলা লাইনে সার্বজনীন রাখালথলি মহাবিষ্ণু মন্দিরটি স্থাপতি হয়। এরপর থেকে এ এলাকার চা বাগানসহ সর্বস্তরের সনাতনী হিন্দু সম্পদায়ের লোকজন নিয়মিত এ মন্দিরে পূজা অর্চনা করে আসছেন। দামোদর মাস উদযাপন উপলক্ষে মহাবিষ্ণু মন্দিরের নিজস্ব টিনশেড ঘরে ইসকন সমর্থিত কিছু যুবকদের এক মাসের জন্য পূজা অর্চনার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ঐ যুবকরা নামহট্ট সংঘের নামে পূজা অর্চনা শুরু করে।
একই জমির মধ্যে এক সাথে মহাবিষ্ণু মন্দির ও নামহট্ট সংঘের পূজা অর্চনা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ইসকন সমর্থক নামহট্ট সংঘের যুবকেরা সুকৌশলে মহাবিষ্ণু মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে। মহাবিষ্ণু মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে ইসকন সমর্থিত নামহট্ট সংঘের সদস্যদের তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মহাবিষ্ণু সংঘের ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল।
নামহট্ট সংঘের সদস্যরা উল্টো মহাবিষ্ণু মন্দিরের সদস্যদের আসামী করে মৌলভীবাজার আদালতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে পরপর তিনটি হয়রানীমূলক মামলা করেছেন। এ মামলার কারণে নানাভাবে হয়রানির শিকার, আর্থিক ক্ষতি ও সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন বলে কিরণ বৈদ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্দির সম্পাদক রুপচাঁন কৈরী, কোষাধ্যক্ষ শৈলেন কুমার বৈদ্য, আলীনগর ইউপি সদস্য রাম বরস বৈদ্য, চা শ্রমিক রাহুল যাদব ও কমিটির উপদেষ্টা রাজ কাপুর কৈরী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ইসকন সমর্থিত নামহট্ট সংঘের সদস্য প্রতাপ বৈদ্য মোবাইলফোনে বলেন, দামোদর মাস উপলক্ষে পূজা অর্চনার জন্য প্রসাদ তৈরি করা হচ্ছিল। তখনই মহাবিষ্ণু মন্দিরের লোকজন এসে মহাহট্ট সংঘের মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করেছে। সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।