মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ।। পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের অপেক্ষায় তৃণমূল
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ৫:১২ অপরাহ্ণ
দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এনিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন।
ইতোমধ্যে পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে তৃণমূল থেকে জেলা ও কেন্দ্রতে। এবারের কমিটিতে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে এমন আশা করছেন দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা। তাই নতুন মুখ আসতে পারে এই কমিটিতে।
অন্যদিকে সম্মেলনকে ঘিরে মৌলভীবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ১৪ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য অনেকটা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যেই নিজের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে উপজেলা জুড়ে বিলবোর্ড ও ফেস্টুন ছেয়ে গেছে। শহরে ও তৃণমূলের হাটবাজারে সম্মেলনের আসা সম্ভাব্য অতিথিদের পোস্টার ব্যাপকভাবে সাঁটানো হচ্ছে। এবার ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের কমপক্ষে চার শতাধিক জন তৃণমূল নেতাকর্মী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সম্মেলনে সভাপতি পদে দুইজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মূলত দুইটি বলয়ে সম্মেলনে জানান দিচ্ছেন প্রার্থীরা। আকবর-সুয়েব পরিষদ ও আনকার-সুফিয়ান পরিষদ। এই দুই প্যানেলের প্রার্থীরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়, দলের গতিশীলতা বাড়াতে যুবক ও তরুণদের সমন্বয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হবে।
সভাপতি প্রার্থী আকবর আলী ছাত্রজীবণ থেকে ছাত্রলীগের সংগঠক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলার ছিলেন। সুনামের সাথে দীর্ঘদিন দরে ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। পৌর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য পদেও আছেন।
এই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দলের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত হন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি। ১৯৮৬ থেকে ৮৮ সালে ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর যুবলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
আরেক প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আনকার আহমদ। তিনি বিগত ২৭ বছর যাবৎ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থেকে তাঁর যাত্রা শুরু। ২০০৫ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
তার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৫ বারের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভাল আছে। সব মিলিয়ে ৪-৫ জনের নাম শুনা যাচ্ছে। কাউন্সিল হবে না সমাঝোতার ভিত্তিতে হবে তা পরিস্থিতিই বলে দিবে’।
তিনি জানান, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্যে রাখতে বলেছেন। আমরা সেই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে কমিটি গঠন করবো। কোন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদকের সাথে জড়িত কাউকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে না’।