কুলাউড়ায় সড়কে নিম্নমানের কাজ, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী অবরুদ্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
কুলাউড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে রাস্তার কাজ নিম্নমানের হওয়ায় এলাকাবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিল ও তার সহযোগী ঠিকাদার আব্দুল হাকিম বাচ্চু ও উপজেলা প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসানকে দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে কাজের অনিয়মের বিষয় কৈফিয়ত চান। এ সময় তারা বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের ঘেরাও করে রাখেন। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কুলাউড়া উপজেলার গৌরিশঙ্কর এলাকায় সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এই খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা যায়, উপজেলার পুশাইনগর বাজার থেকে ভুকশিমইল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত বাবত ১০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডিং। কাজটি বাস্তবায়নের শুরুতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়ম শুরু করে। রাস্তা কার্পেটিং করে যাওয়ার পর স্থানীয়রা ফুঁসে উঠে। তারা এই নিম্নমানের কার্পেটিং হাত দিয়ে টেনে তুলে ফেলেন এবং বিক্ষোভ করেন। এ খবর পেয়ে ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিল ও তার সহযোগী ঠিকাদার আব্দুল হাকিম বাচ্চু ও উপজেলা প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় জনতা তাদের কাছে কাজের কৈফিয়ত চান। বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন। পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এত নিম্নমানের কাজ কোন রাস্তায় হয়নি। গাড়ী চলাচল করলেই পিচ উঠে যাবে। কাজ চলাকালে ঠিকাদের কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কোন লোকজন উপস্থিত থাকেন না। ফলে শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছামত কাজ করে। কোথায়ও আধা ইঞ্চি আবার কোথায় এর চেয়ে কম পিচ ঢালাই করা হচ্ছে।
ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিল অবরুদ্ধে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে বলেন, রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রাইম কোট করা হয়েছে মাত্র। কাজ শেষ হরে এই কাজ অনেক মজবুত হবে। যে কাজ ম্যানুয়েলি হওয়ার কথা সেই কাজ মেশিনে হচ্ছে। ট্যাকনিক্যাল কোন সমস্যা নেই। স্থানীয় লোকজন ভুল বুঝে কাজে বাঁধা দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
কুলাউড়া থানার এসআই সনক কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান অবরুদ্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ হচ্ছে। এলাকাবাসী মনে করেছে ৩ ইঞ্চি কাজ হবার কথা। ভুল বুঝাবুঝির কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে।