রাজনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামীকাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ৫:৫০ অপরাহ্ণ
রাজনগর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামীকাল ১৩ নভেম্বর। নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ১৩ পদে ভোট হবে। বাকী ১২টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে অঘোষিত দুটি প্যানেলে ২৮ জন প্রতিদদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ১১৭ জন।
জানা যায়, সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে। তখন প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক একই সমিতির অর্ন্তভুক্ত ছিল। এই নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন পানিসাইল সরকারি প্রাথমিক দ্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দক্ষিণ ঘড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম। এবারও এই দুজন একই প্যানেল থেকে সভাপতি ও সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
অপরদিকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সভাপতি পদে টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবেন্দ্র বর্ধন ও সাধারণ সম্পাদক পদে সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান। দুই পক্ষই ভোটারদের কাছে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। একপক্ষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। ভোটারদের যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার আহবান জানাচ্ছেন অন্যপক্ষ।
নির্বাচনে ১২টি পদে কোন প্রতিদ্বন্দিব না থাকায় গত ৭ নভেম্বর ১২ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রবীন প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র মহিলা সহ-সভাপতি প্রেমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফে আরা বেগম, সহ-সভাপতি রাজনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস আরা, কদমহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসরাত তাজরীন জাহান, যুগ্ম সম্পাদক (মহিলা) রুবি বেগম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি রাণী ধর, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুন আরা, সহ অর্থ সম্পাদক বিমল চন্দ্র দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করুনাময় দত্ত, সহ মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক সুশিল চন্দ্র দেব।
শিক্ষক সমিতির এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রবীণ প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম। তার সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র দেব, শাহিনুল ইসলাম, বিধান দেব ও এমরান হোসেন খাঁন।