বড়লেখা পৌর শহরে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ নভেম্বর ২০১৯, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার ফুটপাত ও ড্রেন দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। আজ ৩ নভেম্বর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এছাড়া দোকান ও ভবনের সামনে সরকারি জায়গার উপর লোহার সিঁড়ি ও টিনশেড দিয়ে মালামাল রাখার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে বড়লেখা পৌরসভা ও বড়লেখা থানা পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক বছর ধরে লোকজন বড়লেখা পৌরসভার হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ফুটপাত, ড্রেন এবং দোকানের সামনের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। অনেকে দোকানের সামনে বাড়তি টিনশেড দিয়ে সড়কের জায়গার ওপর মালামাল রাখছে। বিভিন্ন গাছের সাথে বিলবোর্ড ও ব্যানার সেঁটে রাখছে। অনেকে দোতলায় উঠার জন্য লোহার সিঁড়ি দিয়ে সড়কের জায়গা দখল করেছে। এতে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারী চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। এতে অনেকে স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। অনেকে নেননি। রবিবার দুপুরে পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে পর্যায়ক্রমে ডাকবাংলো এলাকা, স্টেশন রোড, পৌর মার্কেট, মধ্য বাজার, দক্ষিণ বাজার, পিসি হাইস্কুল মার্কেট এলাকায় এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় বুলডেজার দিয়ে টং ঘর, লোহার সিঁড়িসহ তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে মালামাল রাখা, লোহার সিঁড়ি ও টিনশেড নির্মাণের অপরাধে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা।
অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান, কাউন্সিলর আব্দুল মালিক জুনু, রেজাউল করিম রেজা, কবির আহমদ ও মিজানুর রহমান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী জহির আহমদ, ব্যবসায়ী নেতা ছয়দুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে পৌরসভা, পুলিশ ও সওজ বিভাগ। সরকারি জায়গা থেকে তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ করা জায়গায় পুনরায় যাতে অবৈধ স্থাপনা তৈরি না করা হয়, এজন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’