কমলগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, সাধারণ ক্রেতারা অসহায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা নিম্নl আয়ের মানুষ। পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা, আদা, আলুর দামও বেড়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের অসহনীয় জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের অভিযোগে বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিন শমসেরনগর, ভানুগাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বুধবার বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি ৯৫ টাকা, রসুনের কেজি ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১০০ টাকা, ধনিয়া পাতা কেজি দেড়শ’ টাকা, আদার কেজি ১৫০ টাকা হারে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি আলুর দামও কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শাক-সবজির দামও তুলনামূলক বেশি রয়েছে।
গৃহিনী রুশনা বেগম, ফাতিমা বেগম, দিনমজুর মানিক মিয়া বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনের যে দাম তাতে না খেয়েই থাকতে হচ্ছে। যে আয় তা দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন কিনে খাওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়। তাছাড়া বাজারে এখন সব ধরণের জিনিসপত্রের দাম বেশি। সে তুলনায় শ্রমজীবীদের আয় বাড়েনি। কৃষক রমজান আলী, মসুদ মিয়া বলেন, ফসল ফলাতে যে টাকা খরচ হয় বিক্রির সময়ে তার অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে হয়। এই অবস্থায় পেঁয়াজ, রসুন ও জিনিসপত্রের যে হারে দাম বাড়তে তাতে না খেয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
শমসেরনগর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী, মোদি ব্যবসায়ী ও একটি কনফেকশনারি দোকান ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দামই বেড়ে গেছে। পঁচিশ টাকার একটি পাউরুটি এখন ত্রিশ টাকা হয়েছে। বিস্কুটের প্যাকেটে দাম ঠিক থাকলেও প্রতিটি প্যাকেটে পূর্বের চেয়ে বিস্কুটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, এসব ক্ষেত্রে দিনমজুর, রিক্সাচালক, ঠেলা চালক, কৃষক সাধারণসহ খেটে খাওয়া মানুষের উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।
শমশেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন, শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় সে দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমরা নিম্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও হিমশিম খাচ্ছি।