আগামীকাল শ্রীমঙ্গল আ’লীগের সম্মেলন, উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ৫:০২ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ::
রাত পোহালেই রবিবার প্রায় ১৪ বছর পর অবশেষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ১৩ অক্টোবর রবিবার এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ।
বিগত ২০০৫ সালে সর্বশেষ আ’লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও নানা কারণে দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় ধরে উপজেলায় আর সম্মেলন করতে পারেনি উপজেলা আ’লীগ।
জেলা ও উপজেলা আ’লীগ সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয়, জেলা ও স্থানীয় আ’লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়ে ৩৫৮ জন ভোটার। ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতি কমিটি থেকে ৩১ জন করে মোট ৩১০ জন ভোটার। উপজেলা কমিটি ছিল ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু ও প্রবাসে চলে যাবার কারণে বর্তমানে এই কমিটির ভোটার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া জেলার এখতিয়ারে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যারা নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছেন এরকম আরোও ১৫ জন ভোটার হতে পারেন। গত কিছুদিন থেকে পদপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। এতে করে বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীদের কদরও বেড়ে গেছে। দলের অনেক নেতাকর্মী ও ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচিত হলে একদিকে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে অন্যদিকে দলীয় কোন্দল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সভাপতি পদে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রনধীর কুমার দেব,উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শমশের খাঁ, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আছকির মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান ও পৌর সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভূল। সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আ’লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউছুব আলী, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ফ্রান্স আ’লীগ নেতা আকরাম খাঁন, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মো. ছালিক আহমেদ ও কালাপুর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা উপরু মিয়ার নাম শোনা যাচ্ছে।
তৃণমূল আ’লীগের একজন ভোটার হিসাবে সম্মেলন কেমন হওয়া চাই জানতে চাইলে এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা ফনিভূষন চক্রবর্ত্তী জানান, ‘আমরার এখানে তো কোন সময় ভোটাভোটি হইছেনা, তবে কাউন্সিল হইলে আমরার কোন আপত্তি নেই’।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইউছুব আলী জানান, ‘তিনি আশা করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ দলের কাউন্সিলারদের মতামতকেই প্রাধান্য দিবেন’।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল দ্বারিকাপাল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক জানান, ‘দীর্ঘ বছর পর শ্রীমঙ্গল আ’লীগের সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন নবীন ও প্রবীনের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি কমিটি গঠিত হবে’।
সম্মেলনের সার্বিক বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি সৈয়দ মিছবাহউর রহমান জানান, কাউন্সিলারদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নেতা নির্বাচিত হবেন। কাউন্সিলাররা যদি বলেন আপনারা দিয়ে দেন বা ৫ জনের উপর দায়িত্ব দেন, ইহা কাউন্সিলাদের উপর নির্ভর করবে। তিনি আরও জানান দলীয় গঠনতন্ত্রের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা আমারও নেই, সেন্ট্রালেরও নেই’।