বিয়ানীবাজারে আওয়ামীলীগ কর্মী হত্যা মামলার আসামী কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ জুন ২০১৯, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার সংবাদদাতাঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত রফিক উদ্দিন হত্যা মামলার ১নং আসামী আজাদুর রহমান কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে সীমান্তবর্তী সারপার এলাকায় একদল র্যাবের সাথে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ আজাদ নিহত হয়েছেন বলে দাবী করেছে র্যাব। নিহত আজাদুর রহমান মাথিউরা ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারী। তার বাবার নাম মৃত আতাউর রহমান।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখা সিলেটে বিভাগের সহ পরিচালক রাসেল আহমদ চৌধুরী জানান,গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজাদকে ধরতে মুড়িয়া ইউনিয়নের সারপারে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আজাদ তার সহযোগীদের নিয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে। পরে ঘটনাস্থলে আজাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে র্যাব।
এদিকে নিহত আজাদের পরিবার ও বিএনপি নেতারা এটাকে পরিকল্পিত ‘বিচারবহির্হভূত হত্যাকান্ড’ বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবী,র্যাব আজাদকে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। বন্দুক যুদ্ধ এটি র্যাবের সাজানো নাটক।
উল্লেখ্য,গত ২ জুন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে রফিক উদ্দিন নামে উপজেলা আওয়ামীলীগ এক কর্মী নিহত হন। তিনি জামাল গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে পরামর্শ সভা আহ্বান করা হয়েছিল। এ সভায় জামাল আহমদ এবং আবুল কাশেম পল্লব অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের গুলাগুলিতে রফিক উদ্দিন ও সুমন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিক উদ্দিন মারা যান।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল আহমদ ৩ জুন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ১নং আসামী ছিলেন যুবদল নেতা আজাদুর রহমান। ২নং মাহবুব হোসেন,পিতা ফারুক উদ্দিন,গ্রামঃদাসউরা,৩ নং জালাল উদ্দিন,পিতা মৃত মইন উদ্দিন,গ্রাম দক্ষিণ দাসউরা ৪নং উজ্জল আহমদ,পিতা সিরাজ উদ্দিন-গ্রামঃলাউতা,৫নং দুলন মিয়া-পিতা-রহিম মিয়া-গ্রাম-লাউতা,৬নং জয়নুল ইসলাম,পিতা ছমির উদ্দিন,গ্রাম কসবা,৭নং ফয়ছল আহমদ,পিতা তারেক আহমদ,গ্রামঃদাসউরা,৮ নং তোফায়েল আহমদ,পিতাঃকলিম উদ্দিন,গ্রাম নবাং,৯নং আনোয়ার হোসেন,পিতা আসাব আলী,গ্রামঃফতেহপুর,১০ নং এমাদ উদ্দিন,পিতা আমির উদ্দিন,গ্রাম কসবা,১১ নং এখলাছ উদ্দিন,পিতা সরাজ আলী,গ্রামঃকসবা।