মৌলভীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
প্রার্থীদের মাঝে চলছে শেষ সময়ের হিসেব-নিকেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মার্চ ২০১৯, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে চলছে শেষ সময়ের হিসেব-নিকেশ। জেলা জুড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয়পার্টির ভোটাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মাঝে জোর তৎপরতা চলছে। মৌলভীবাজারের ২১ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাঝে ১৯ প্রার্থী আ’লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আ’লীগের সাথে আ’লীগের প্রতিদ্বন্দ্বীতার ভোটে নৌকা নাকি বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলার মধ্যে সদরে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ প্রার্থী কামাল হোসেনের সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ইতিমধ্যে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে আ’লীগ প্রার্থী রণধীর কুমার দেবের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিীতা করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী আফজাল হক। এ উপজেলায় জাকের পার্টির আব্দুল কাইয়ুমও চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।
কমলগঞ্জে আ’লীগ প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন সাবেক চিফহুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের ছোট ভাই স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল ও ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ মিনার।
আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আ’লীগ সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, চা-বাগান অধ্যুষিত কমলগঞ্জ আ’লীগের ঘাটি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা আ’লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে আ’লীগ নেতাকর্মীরা তাদের প্রত্যাখান করে নৌকাকে বিজয়ী করবে।
রাজনগরে আ’লীগ প্রার্থী আছকির খানের বিরুদ্ধে নিজ দলের আরো চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তারা হলেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজবাউদ্দৌজা ভেলাই, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান খান, উপজেলা আ’লীগ সদস্য সাতির মিয়া। রাজনগরে মিছবাউদ্দোজা ভালো অবস্থানে আছেন।
কুলাউড়ায় নৌকা প্রতীক প্রার্থী আসম কামরুল ইসলামের বিপরীতে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ওই উপজেলা আ’লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফি আহমদ সলমান এবং নবাব আলী নকী খান।
জুড়ীতে আ’লীগ প্রার্থী গুলশান আরা চৌধুরী মিলির বিপরীতে তার আপন দেবর নেদারল্যান্ড আ’লীগ সভাপতি এম এ মুঈদ ফারুক ও বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি লড়ছেন। এ উপজেলায় দেবর-ভাবির নির্বাচনী যুদ্ধে জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে কে বিজয়ী হন তার অপেক্ষায় রয়েছেন এমন কথা বলেন স্থানীয় ভোটার রাহেলা সিদ্দিকা।
বড়লেখায় আ’লীগের মনোনয়নে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন রফিকুল ইসলাম সুন্দর। তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির ভাগ্নে, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুয়েব আহমদ ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজ উদ্দিন।
বড়লেখা উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সুয়েব আহমদ বলেন, স্থানীয় জনসাধারণ ও ভোটারদের মতামতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি। তিনি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।