আল্লাহর ওলিদের প্রতি মহব্বত রাখলে রাসূলের মহব্বত অন্তরে আসবে- কাতারে আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
কাতার সংবাদাদাতা :
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহৎ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক ও সাপ্তাহিক পূর্বদিক পত্রিকার প্রকাশক আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেছেন, আল্লাহর ওলিরা মানুষকে আল্লাহমুখি করার মিশন নিয়ে কাজ করেন। দুনিয়াবি কোন লোভ বা ক্ষমতার জন্য তারা লালায়িত নন। দ্বীনের স্বার্থে তারা তাদের জীবনকে বিলিয়ে দেন। আল্লাহর ওলিদের প্রতি অন্তরে মহব্বত রাখলে রাসূলের মহব্বত অন্তরে আসবে।
তিনি আরো বলেন, ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ তার আদর্শ ও মায়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ইসলামের দিকে ধাবিত করেছেন। ইসলামের খেদমত আঞ্জাম দিতে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু মুসলমান নয় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি তিনি আন্তরিক ছিলেন। রাস্তায় একটি কুকুরকেও বিপদগ্রস্থ হতে দেখলে তাকে উদ্ধার করেছেন। হিন্দু মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের আলখোরে আনজুমানে আল ইসলাহর আয়োজনে অনুষ্ঠিত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলার ইসালে সাওয়াব মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
আল ইসলাহ কাতারের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মারুফ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সূফি ক্বারী মো. আব্দুল মুনতাকিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার আমেরিকা মিশিগানের প্রেসিডেন্ট আব্দুল মতলিব, মৌলভীবাজার জেলা আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ হাফিজ আলাউর রাহমান টিপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সূফি ক্বারী আব্দুল মুনতাকিম বলেন, আল্লাহওয়ালা মানুষের কলবকে আল্লাহ সালামত করেন। কলবে সালিম যাদের নসিব হয়েছে তারাই প্রকৃত মুমিন। কেউ পীর, বাদশাহ, মুমিন নিজেকে দাবি করতে পারে কিন্তু কলবে সালিম না হলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। মুমিন ব্যক্তির কলবে হিংসা, গীবত, কাউকে ধোকা দেওয়া ও অহংকার থাকতে পারে না। মানুষ যবান দ্বারাই সবচেয়ে বেশি গুনাহ করে। তাই কথা বলার সময় আমাদের যবানকে হেফাযত রাখতে হবে।
অতিথি ছিলেন আল ইসলাহ কেন্দ্রীয় শাখার সহসভাপতি হাফিজ তুতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান লাকি, কাতার মহানগর আল ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক এহসানুল মাহবুব নাজিম, আল ইসলাহ কেন্দ্রীয় শাখার সহসাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাও. ইব্রাহীম খান, সহপ্রচার সম্পাদক সালমান খান রুয়েল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক কারী আকবর আলী, দোহা মহানগর শাখার সভাপতি আব্দুল আহাদ সিদ্দিকী, সহসভাপতি ইফতেখার আহমদ, মাতাব আলী, হাসান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিওয়াকত হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম জায়েদ, অর্থ সম্পাদক সুমন আহমদ, সানাইয়া শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ, সহসভাপতি হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর, আলখুর শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, শিবলু খান, শেলীয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রুশন আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, মৌলভীবাজার সমাজ কল্যাণ পরিষদ, কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফেঞ্চুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি, কাক সুপার স্টার, ফ্রেন্ডস ক্লাব, ওসমানী স্মৃতি পরিষদ, সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।