গোলাপগঞ্জের বাগলায় বিএনপি-আওয়ামীলীগ গুলাগুলি, পথচারী নিহত, থানায় মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাগলায় বিএনপি’র নির্বাচনী সভায় বাধাদানকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ পথচারী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৫/২০ জন। গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ১০ নং বাদেপাশা ইউনিয়নের ২ নং বাগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর বাগলা বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ড.কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত,ধানের শীষ প্রতিকের সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী সভার আয়োজন করেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাধা প্রদান করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান। বিএনপি বাধা উপেক্ষা করে সভার কার্যক্রম শুরু করলে তাতে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। বিএনপি কর্মীরা প্রতিরোধ শুরু করলে উভয় পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের এলোপাতাড়ি গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় গুলিতে প্রাণ হারান জুবেল আহমদ নামের এক পথচারী। তিনি প্বার্শবর্তী গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন উভয় পক্ষের ১৫/২০ জন। আহতদেরকে দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে নিহত জুবেল আহমদকে নিজেদের কর্মী দাবী করে আজ (১৮ ডিসেম্বর) থানায় মামলা করেছেন বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান। বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের ২৩ নেতাকর্মীর বিরোদ্ধে তিনি এ হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং খুনের সাথে জড়িত সকল বিএনপি ক্যাডারদেরকে গ্রেফতারের দাবী জানান। এজাহারের তথ্যানুযায়ী,মামলার আসামীরা হলেন;(১) ঢাকাদক্ষিন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ (২) একই কলেজের সাবেক প্রচার সম্পাদক তারেক আহমদ (৩) ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলিম উদ্দিন,(৪) সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন,(৫) কামাল আহমদ,(৬) সেক্রেটারী নাসির আলী,(৭) ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি রাসেদ খান,(৮) সহ সভাপতি জালাল আহমদ (৯) যুবদল সেক্রেটারী কিবরিয়া আহমদ,(১০) অর্থ সম্পাদক কাসেম আলী (১১) প্রচার সম্পাদক কলিম উদ্দিন,(১২) ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সুমন আহমদ,(১৩) লাবলু, (১৪) দেলওয়ার,(১৫) জনি, (১৬) সামাদ, (১৭) বিলাল, (১৮) এহসান,(১৯) মহসিন, (২০) রাজন, (২১) সিদ্দিক,(২২) বাদল,(২৩) রফিক।
খবর নিয়ে জানা যায়,সংঘর্ষ ও মামলার পর থেকে পুরো এলাকা বিএনপি’র নেতাকর্মী শূন্য । বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সবাই পলাতক।
সার্বিক বিষয় জানতে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামীলীগ সংঘর্ষে নিহত জুবেলের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সকল আসামী ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।