রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
তাজুল ইসলাম যুক্তরাজ্য থেকে:
বর্তমান সরকারের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার রোষানলে পড়েছেন একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।বিচারের নামে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর ওপর রীতিমত নজিরবিহীন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। যেখানে বিচারের জন্য বাংলাদেশে স্তায়ী আদালত ভবন আছে সেখানে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা মাদ্রাসায় বিশেষ আদালত স্হাপন করে বিচার কতটা শুভনীয়? বিচারের নামে যদি একটা মানুষ আদালতে প্রতি সপ্তাহে তিন-চার দিন হাজিরা দিতে হয় তাহলে কি তার দৈনন্দিন জীপন যাপনে বাধার সৃষ্টি হয় না? তাহলে কি ধরে নেব বর্তমান সরকার আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়াকে হেনাস্তা করার জন্য। বিগত দিনে অনেক নেতা নেত্রীর মামলা আদালতে ছিল এবং কারো চলমান কিন্তু কাউকে তো কোনদিন শুনিনি যে তার মামলা মোকাবেলায় সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আদালতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছে। কেন বর্ষীয়ান একজন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিচারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে? দেশনেত্রী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার পরও দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করার ঘটনা কি বিচারের নামে ব্যক্তি আক্রোশই স্পস্ট হয়ে উঠেছে না? বিগত দিনে বাংলাদেশে জরুরী অবস্তা চলার সময় অনেকেই মামলা মোকাবিলার ভয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়িয়েছেন, কিন্তু বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং দেশের জনগনের ভালোবাসা নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে সেদিন মামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, আইনিভাবেই মামলা মোকাবিলা করে যাচ্ছেন স্বাধীন। বাংলাদেশের আদালতগুলোতে যেখানে মানুষের লক্ষ লক্ষ মামলা চলছে সেখানে তো কাউকে এই রকমের সপ্তাহের চার পাঁচ দিন বিচারের নামে আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করেনি।একটা বিশেষ আদালতে সপ্তাহে চার /পাঁচ দিন স্বশরীরে হাজিরা দেয়ার দৃষ্টান্তটা যেন কেবলমাত্র একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ। এটা যদি হয় বিচারের নামে আদালতে প্রতিদিন ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে জনগনের কাছ থেকে দেশনেত্রীকে দুরে রাখার নীলনক্সা সেটা এদেশের ১৬ কোটি মানুষ কোনদিন মেনে নেবে না, কেননা এদেশের মানুষের মনের মণিকোঠায় তাঁর অবস্থান।