মৌলভীবাজারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি ॥ ধানের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির দাবি কৃষকদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০১৫, ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক রিপোর্ট ::
মৌলভীবাজার জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলন না হওয়ার জন্য জলাবদ্ধতা ও নিচু এলাকাকে দায়ী করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এদিকে কোন কোন এলাকায় ফলন ভালো হলেও বাজারে ধানের বিক্রয় মূল্য কম ও সারের বস্তা প্রতি দাম বেশি থাকায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান। কৃষকরা ধানের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি ও সারের দাম কমাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মওসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ৯৯ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে।
এরমধ্যে মৌলভীবাজার সদরে ১৭ হাজার ৮শ হেক্টর, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৪ হাজার ৯৮৪ হেক্টর, রাজনগর উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭০ হেক্টর, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর, জুড়ী উপজেলায় ৮ হাজার ২২০ হেক্টর, বড়লেখা উপজেলায় ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর ও কুলাউড়া উপজেলায় ১৯ হাজার ১০ হেক্টর। উপরোল্লিখিত এই আবাদী জমিতে উৎপাদিত ধান থেকে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এদিকে ২ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে ফলন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার বাইরে রয়েছে। ফলন না হওয়ার কারণ হিসেবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা ও নিচু এলাকাকে দায়ী করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সদর উপজেলার বরমান গ্রামের কৃষক মুঈদ মিয়া পূর্বদিককে জানান, সবকিছু মিলিয়ে ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি কোথাও ১৫ মন আবার কোথাও ২০ মন ধান ফলন হয়েছে। তবে ধানের বাজারে বিক্রয় মূল্য ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা ও প্রতি বস্তা সার কিনতে হয় ১ হাজার টাকা করে। ফলে ধান ফলন ভালো হলেও চারা, বীজ, সার ও কামলা খরচ দিয়ে কিছুই উদ্বৃত্ত থাকেনা। বরং লোকসান গুণতে হয় কৃষকদের। তাই ধানের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি ও সারের দাম কমাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান পূর্বদিককে জানান, ধান ফলন ভালো হয়েছে তবে কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা ও নিচু এলাকায় পানি জমে থাকায় ২ হাজারেরও বেশি জমিতে ধান ফলন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।