চিকিৎসকের ফি বাড়ানো অযৌক্তিক ও নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ —সিভিল সার্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক রিপোর্ট ::
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী বলেছেন, একজন চিকিৎসক তার ইচ্ছেমতো রোগী দেখার ফি বাড়ানো অযৌক্তিক একটি কাজ। তিনি বলেন, চিকিৎসকের ফি কোন পর্যায় থেকেই নির্ধারিত নয়। মৌলভীবাজারে বিভিন্ন ক্লিনিক ও চেম্বারে যারা ইতিমধ্যে ফি বাড়িয়েছেন তারা নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে পেশ করবো।
তিনি বলেন, চিকিৎসা একটি মানবিক পেশা। এই পেশার সাথে আইনজীবীদের পেশার তুলনা করা ঠিক নয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের ইপিআই ভবনে আগামী ১৪ নভেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড সেন্টার বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব উপজেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্তীর সভাপতিত্ব করেন।
মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আবদুল হামিদ মাহবুব, এনটিভির এস এম উমেদ আলী, প্রথম আলোর আকমল হোসেন নিপু, সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ সম্পাদক নূরুল ইসলাম শেফুল, মাছরাঙা টিভির তমাল ফেরদৌস, সিনিয়র সাংবাদিক আনহার আহমদ সমশাদ, বিটিভির হাসানাত কামাল, অর্থনীতির সৈয়দ মেহেদী হাসান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. সিনথিয়া আক্তার।
সিভিল সার্জন জানান, ভিটামিন এ খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান এই শ্লোগান নিয়ে এবারের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। জাতীয় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সফল করতে ইতিমধ্যে জেলার ৭টি উপজেলায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষক, মসজিদের ইমামদের সাথে উপজেলাভিত্তিক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর ১৬৫৪টি ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাসের ২৮ হাজার ৬৬৫ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৭২জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৪৪ জন সুপারভাইজার ৫২৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবক, ২৪৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৩০৬ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী ও ৯ জন টিকাদান কর্মী রয়েছে।
তিনি এই কার্যক্রম সফল করতে সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় জেলার ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইনের প্রায় ২৫জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।