একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের প্রতি সম্মান জানালো আওয়ামীলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৫, ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক রিপোর্ট ::
ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও ঢাকা শহরে একটা বাড়ি করতে পারেননি মরহুম মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। কতটুকু সৎ ও নিষ্ঠাবান হলে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটা সম্ভব তা তিনি প্রমাণ করে গেছেন।
নিজের বাসস্থান না বানিয়ে তিনি মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনের পাশে গরীব ও অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য ২০ বেডের একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন তিনি। শুধু তাই নয় ৪টি উন্নত জাতের গাভী পালন করেন যাতে আগত রোগীরা দুধ খেতে পারে। বিভিন্ন জাতের ফুলের ও ফলের চারা লাগিয়ে সজ্জিত করেন বাড়িটি। হাঁটার জন্য একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেন। পাখি ও বিভিন্ন জাতের মোরগ, তিতির, হাঁস পালন শুরু করেন। যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার তিনি বহন করতেন।
জীবনের শেষ মুহুর্তে বিভিন্ন ব্যাধি নিয়ে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীনও তিনি এই দুস্থ মানুষদের খবর নিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন মন্ত্রী হয়ে সে দেশের, বিশেষ করে নিজ এলাকা মৌলভীবাজারের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। আর এসব ক্ষেত্রে সবসময় পাশে ছিলেন তাঁর প্রিয় সহধর্মিনী সৈয়দা সায়রা মহসিন।
তাঁর মৃত্যুর পর শুণ্য হওয়া আসনে সহধর্মিনী সৈয়দা সায়রা মহসিনকে প্রার্থী করার জোরালো দাবি উঠে তৃণমূল পর্যায় থেকে। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে দলের বর্ধিত কর্মীসভায় সায়রা মহসিনের প্রার্থীতার বিষয়ে একমত হয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ।
সৈয়দা সায়রা মহসিন বলেন, সৈয়দ মহসিন আলীর মতোই আমি মৌলভীবাজারবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাবো। সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। আমার স্বামী মৌলভীবাজারবাসীকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। তার কাছ থেকেই এভাবে মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমাকে মনোনয়ন প্রদানের মাধ্যমে নেত্রী আমার স্বামীকে সম্মান দেখিয়েছেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতামতের গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সৈয়দ মহসিন আলীর দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা সানজিদা শারমিন তার মায়ের মনোনয়নে পরিবার ও মৌলভীবাজারবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মাকে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে নেত্রী আমার সৎ, নির্লোভ ও দেশপ্রেমিক বাবাকে সম্মান দেখিয়েছেন। আমরা নেত্রীর আস্থা এবং বাবার নির্মোহ রাজনীতি ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
সানজিদা শারমিন বলেন, মৌলভীবাজারকে নিয়ে আব্বার অনেক স্বপ্ন ছিল। এর অনেকগুলোই অপূর্ণ রয়ে গেছে। এখন মায়ের নেতৃত্বে এই স্বপ্নগুলো পূরণের জন্য আমরা কাজ করে যাবো।