কুলাউড়ায় নারী জনপ্রতিনিধিদের কর্মশালা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
স্থানীয় সরকার আইন ও পরিপত্র সমূহের আলোকে কুলাউড়ায় নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ও অংশগ্রহণ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রিপট্রাস্ট এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রিপট্রাস্টের প্রোগ্রাম অফিসার মর্জিনা আক্তারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নারী নেত্রী নেহার বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সীমান্তের ডাকের সম্পাদকম-লীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু, সাংবাদিক খালেদ পারভেজ বখ্স, কুলাউড়া সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, দৈনিক দিনকালের কুলাউড়া প্রতিনিধি মোক্তাদির হোসেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নারী উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী হেপি, কুলাউড়া পৌর কাউন্সিলর কায়সার আরিফ, গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শিল্পী বেগম, উপজেলা পরিষদ সদস্য পার্বতী ভর, গুল বাহার বেগম, কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজমিনা আক্তার সেবী, বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রানু বেগম, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুতিনা বেগম, ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাবিত্রী কানু, টিলাগাও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জলি পালসহ বিভিন্ন মহিলা সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায় থেকেই নেতৃত্ব বিকশিত হয়। তাই সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে তৃণমূল পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে প্রথম নারীরা প্রত্যক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান ২০ জন, সাধারণ সদস্য ১১০ জন এবং ১২হাজার ৮২৮ জন নারী নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়ণে এটি একটি বিরাট অর্জন।
বক্তারা আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এ নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করে দিলে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন আরো সহজতর হবে।