কমলগঞ্জে খুঁটিতে বেঁধে শিশু নির্যাতন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
জেলার কমলগঞ্জে বাঁশ চুরির অভিযোগে ঘরের বারান্দার খুঁটির সাথে রশি দিয়ে বেঁধে হাবিবুর রহমান তুহিন (৯) নামের একটি শিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাবিবুর ব্র্যাক পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুদ আলী শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
ঘটনাটি ঘটে ১৬ অক্টোবর (শুক্রবার) শমশেরনগর ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামে।
নির্যাতিত শিশুর বাবা সিএনজি অটোরিক্সা চালক দেলওয়ার হোসেন জানান, আমার ছেলে ঘটনার দিন সকালে ছিটকা জাল তৈরীতে একটি চিকন টেটুয়া বাঁশ আনতে পাশের বাড়ির আলতা মিয়ার বাড়িতে যায়। এসময়ে বাড়ির লোকজন ছেলেটিকে সবজির জমিতে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে বলেন। ছেলেটি বাঁশের আশায় কিছু সময় জমিতে মাটি খুঁড়ে দেয়।
এরপর হাবিবুরকে বাঁশ ঝাড়ের নিচে পরিত্যক্ত একটি বাঁশের টুকরো নিতে বলে আলতা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। বাঁশ হাতে নেয়ার পরই আলতা মিয়ার ছেলে রাজু, আমিন, মেয়ে হেলেন ও মিলন শিশুটিকে ঘরে নিয়ে কিল ঘুষি মেরে ঘরের বারান্দার খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
খবর পেয়ে শিশুর মা ও দাদী তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে রাজু, আমিনরা শিশুটিকে ছাড়তে রাজি হননি। প্রায় এক ঘন্টা পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুদ আলী শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এসময় ইউপি সদস্য এ ঘটনায় সামাজিক বৈঠক করে সমাধান করার আশ্বাস দেওয়ায় থানায় কোন অভিযোগ করি নি।
এদিকে একদিন পর আলতা মিয়ার একটি ছাগল তাঁর সবজি ক্ষেত নষ্ট করায় হাবিবুর পূর্বের ক্ষোভে ছাগল আটকিয়ে খোঁয়াড়ে দিতে চান। এঘটনায় আলতা মিয়ার ছেলে আমিন উল্টো শিশুটি ও তার বাবা মাকে ছাগল চুরির অভিযোগ তুলে শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আমিন আলী জানান, বাঁশ চুরির দায়ে শিশু হাবিবকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে কেউ মারামারি করেনি।
ইউপি সদস্য তাজুদ আলী জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুঁটির সাথে বাঁধা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে পৌছে দেই।
শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ জানান, দেলওয়ার হোসেন তার শিশু হাবিবকে বেঁধে নির্যাতনের মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। অপরপক্ষ আমিন আলী ছাগল চুরির অভিযোগ করে ইউনিয়ন আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে অভিযোগ হলে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।