চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে চা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৬৯ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সাথে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালিতে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশী চা সংসদের কার্যালয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধির সাথে মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চল) সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা জানান, প্রতি দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করে নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে মজুরি বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও এতদিন তা বাস্তবায়িত হয়নি।
মজুরি সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় চা শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করলে মালিক পক্ষ এককভাবে ৪৮ টাকা থেকে ৫২ ও ৬২ টাকা এবং সর্বশেষ সর্বোচ্চ মজুরী ৬৯ টাকা নির্ধারণ করেন।
নতুন করে মজুরি বৃদ্ধি, সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরী প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের সকল চা বাগানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালনের পর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশীয় চা সংসদ (বিটিএ) ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় বাংলাদেশী চা সংসদের কার্যালয়ে চা বাগান মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুনরায় আরেকটি বৈঠক হয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী নতুন চুক্তিতে ছুটির দিনের মজুরিসহ দৈনিক মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বৈঠকে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং নামে নতুন করে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন চুক্তিতে জানুয়ারি (২০১৫) থেকে চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পাবে ৮৫ টাকা।
তিনি আরও বলেন, রোববার ছুটির দিনে কাজ না করলেও দৈনিক মজুরি পাবে চা শ্রমিকরা। বছরে দুটি উৎসব ভাতা হিসাবে চা শ্রমিকরা পাবে ২৭৫০ টাকা। চা শ্রমিকরা নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে। বৈঠকে চুক্তি স্বাক্ষরকালে চা বাগান মালিক পক্ষের প্রতিনিধি আহ্বায়ক নূর আলম, এস এম তাহের, তাহসিন এ চৌধুরী ও আনিছুজ্জামান এবং শ্রমিক প্রতিনিধি ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সম্পাদক রাম ভজন কৈরী, প্রতিনিধি শিউ ধনী কূর্মী, বিজয় হাজরা, পরেশ কালেঞ্জী ও রাজু গোয়ালা উপস্থিত ছিলেন।#