দাপ্তরিক কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ
বরখাস্ত বিআরডিবির হিসাব রক্ষক আবারও মৌলভীবাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০১৫, ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
স্বাক্ষর জালিয়াতি, চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও পরবর্তীতে একই অভিযোগে বদলীকৃত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের হিসাব রক্ষক নিবাস চন্দ্র দাস আবারও মৌলভীবাজার সদর অফিসে যোগদান করেছেন। এমন খবরে মাঠকর্মী ও দাপ্তরিক কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অফিসে তিনি যোগদান করলে মৌলভীবাজার সদর ইউসিসিএ লি. ও সদাবিক’র কর্মচারীরা দাপ্তরিক ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মৌলভীবাজার ইউসিসিএ লি. মৌলভীবাজার সদরের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত দরখাস্তে নিবাস চন্দ্র দাস এই অফিসে কর্মরত হলে অফিস শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে বলেও তারা শঙ্কা করেছেন।
জানা যায়, নিবাস চন্দ্র দাস মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের হিসাব রক্ষক থাকাকালে কর্তব্যে অবহেলা, কর্মচারীদের প্রতি হয়রানীমূলক আচরণ, চেক জালিয়াতি, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ২ জুলাই বিআরডিবি সদর দপ্তর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। বরখাস্তে ৯ মাস পর এই অফিসে আবারও তিনি যোগদান করলে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৭ মে তাকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। সেখানের দায়িত্বরতরা তার বিরুদ্ধে আপত্তি তুললে আরেক আদশের মাধ্যমে তাকে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় নিয়োগ দেয়া হয়।
বর্তমানে তিনি এক আদেশের মাধ্যমে আবারও মৌলভীবাজার সদরে যোগদান করেছেন। তার যোগদানের পর থেকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এতোকিছুর পরও তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বারবার আসেন নিশ্চয়ই কোন খুঁটির জোরে। সেই খুঁটির জোর কোথায়? আর তিনিই বারবার এ উপজেলায় আসার পেছনে কি এমন মধু।
এ ব্যাপারে বাবু শ্রী নিবাস চন্দ্র দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভূয়া। মে মাস থেকেই আমি মৌলভীবাজার সদরে কর্মরত আছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ আমার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখিনি।
বিআরডিবির মৌলভীবাজারের উপপরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি আংশিক জানি। তার বিরুদ্ধে কিছু কাগজপত্র আমার কাছে এসেছে তবে এখনো আমি এগুলো ‘ঘাটাঘাটি’ করিনি।