কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগানে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতসহ ১৪ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের আল্টিমেটাম
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০১৫, ১:১৭ অপরাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ন্যাশনাল টি কোম্পানির পাত্রখলা চা বাগানে ভেঙে পড়া ঘর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চা শ্রমিক পরিবার সদস্যরা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীর্নশীর্ণ ঘর মেরামতের দাবিতে শ্রমিকরা বাগান ব্যবস্থাপক বরাবরে দাবিনামা দেয়ার চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ১৪ দফা দাবিনামা দিয়ে ঘর মেরামতের জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন শ্রমিকদের ঘর মেরামত হচ্ছে।
সরেজমিনে পাত্রখলা চা বাগান ঘুরে ও শ্রমিকদের অভিযোগে জানা যায়, চা বাগানে শ্রমিক কলোনি সমূহে জীর্নশীর্ণ ঘরে দেয়াল ফাঁটা, টিনের চালে ছিদ্র, ছানি নষ্ট, দরজা-জানালা ভাঙা এবং কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের দাবিতে গত ১৬ জানুয়ারি চা বাগান ব্যবস্থাপক বরাবরে শ্রমিকরা লিখিতভাবে আবেদন জানান। এই আবেদনের চার মাস অতিবাহিত হলেও বাগান কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ১১ মে বাগান ব্যবস্থাপক বরাবরে শ্রমিকরা গণদরখাস্ত প্রদান করেন।
দরখাস্তে বাসস্থানের ব্যবস্থা, পুরাতন কাঁচা-আধাপাকা ঘর সংস্কার, হাসপাতালে এমবিবিএস ডাক্তার ও কম্পাউন্ডার নিয়োগ, ল্যাট্রিন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, কীটনাশক ছিটানো শ্রমিকদের পোষাক, চশমা, গ্লাভস ও জুতা প্রদান সহ গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি দাবিনামা উল্লেখ করে ১৫ দিনের মধ্যে ঘর মেরামতের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
তুলসি, দুলাল শুক্লবৈদ্য, রইস মিয়া, গোপাল মুন্ডা, স্মৃতি ভৌমিকসহ চা বাগানের শ্রমিকরা বলেন, তাদের ঘর এমনিতেই জীর্নশীর্ণ। ঘূর্ণিঝড়ে ঘর ভেঙে পড়েছে, উপরের চালা উড়ে গেছে। ম্যানেজারকে কয়েক দফা মৌখিক বলার পর লিখিতভাবে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা অন্যের বাসায় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে গাদাগাদি করে দিনযাপন করছেন। শ্রমিকরা আরও বলেন, ১১ মে যে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে তাতে পনের দিনের মধ্যে কাজ না হলে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে পাত্রখলা চা বাগান ব্যবস্থাপক শামছুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এনটিসির ডিজিএম মো. শাহজাহান বলেন, আসলে দু’দফা ঘূর্ণিঝড়ে কিছু শ্রমিকদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোম্পানি দু’লাখ টাকা দিয়েছে এই টাকায় শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, এখন শ্রমিকরা পাকা ঘর করছেন। তারা অনেক ভাল আছেন।