চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বার্সেলোনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০১৫, ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক ::
দুই লেগের সেমিফাইনালে ৫-৩ গোলে বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের দল বার্সেলোনা।
বার্সার মাঠে মেসির জাদুতে সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারে জার্মান ক্লাবটি। নিজ মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রয়োজন ছিল চার গোলের ব্যবধানের জয়। কিন্তু লাম, মুলার, লেভানডফস্কি আর শোয়েনস্টাইগারদের অনেক চেষ্টায় সত্ত্বেও গোল ব্যবধান কমেনি, ম্যাচ জিতলেও হতাশা নিয়েই ছাড়তে হয়েছে মাঠ। এ জয়ের ফলে চার বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হেনরিকের শিষ্যরা এখন ‘ট্রেবল’ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বার্সা। ৬ জুন বার্লিনের ফাইনালে তাদের সঙ্গী রিয়াল মাদ্রিদ না জুভেন্টাস, জানা যাবে আজ বুধবার রাতে। লা লিগার শিরোপা কাছাকাছি থাকা মেসির দলটি স্প্যানিশ কাপের ফাইনালেও উঠেছে।
খেলার শুরুতে স্প্যানিশ তারকা জাবি আলোনসোর কর্নার থেকে পাওয়া বলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাকে মাতিয়ে তোলেন বেনাশিয়া। বেনাতিয়ার গোলে পিছিয়ে পড়লে জোড়া গোলে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধে রবার্ট লেভানডফস্কি আর টমাস মুলারের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন তবে ফাইনালে ওঠার আনন্দ ভাসে বার্সা সমর্থকেরা।
বেনাশিয়ার গোলের পর খেলার ১৫ মিনিটে মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমারের (এমএসএন) যৌথ প্রযোজনায় গোল পায় বার্সা। মাঝ মাঠ থেকে মেসির বাড়ানো বল বায়ার্নের বক্সে পায় সুয়ারেজ।
সেই বল আলতো করে বাড়িয়ে দেন নেইমারের দিকে, বার্য়ানের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটে আবারও মেসির জাদু। প্রায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুয়ারেজের কাছে বল পাস দেন আর্জেন্টাইন তারকা। সুয়ারেজ ক্রস বাড়ান নেইমারের দিকে, নিজের দ্বিতীয় গোলে বার্সাকে ২-১ এ এগিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তবে এরপর বায়ার্নের দুটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন বার্সার গোলরক্ষক স্টেগেন। শোয়েনস্টাইগারের হেড ফেরানোর পর লেভানডফস্কির শট গোললাইন থেকে ফেরান তিনি। এ সময় বায়ার্ন খেলোয়াড়েরা গোলের দাবি জানালেও রেফারি তাতে কান দেননি। তবে ধারাভাষ্যকাররা গোললাইন প্রযুক্তির কথা বলছেন বেশ কয়েকবার।
বিরতির পর খেলার ৬০ মিনিটে ঝিমিয়ে পড়া আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাকে জাগিয়ে তোলেন রবার্ট লেভানডফস্কি। পিছিয়ে থাকা বায়ার্নকে সমতায় ফেরান (২-২) লেভানডফস্কি। শোয়েনির বাড়ানো বলে জোরালো শটে সমতা আনেন পোল্যান্ডের এই তারকা।
এরপর খেলার ৭৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে টমাস মুলার পেপ গার্দিওলার দল এগিয়ে যায় ৩-২ এ। খেলার শেষের দিকে অতিরিক্ত সময়ে (৯২ মিনিটে) পেদ্রোর এগিয়ে দেওয়া বলে সুযোগ হেলায় হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারান নেইমার। তবে রক্ষণভাগের কারণে বার্সেলোনা মঙ্গলবারের রাতটি আনন্দে উদ্যাপন করতে পেরেছে, এটি না বললে ডিফেন্ডারদের কিছুটা অবমূল্যায়নই করা হবে। ফুটবল যেমন গোলের খেলা, আবার প্রতিপক্ষকে গোলবঞ্চিত করারও খেলা।