আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
কালনী থামল না শমসেরনগর স্টেশনে, লাফিয়ে নামল যাত্রীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০১৫, ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে নিয়ম ভেঙে চলে গেল আন্তঃনগর কালনী একপ্রেস। সোমবার গভীর রাতে শমসেরনগর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনের চারবগি উল্টো পথে চার কিলোমিটার ছুটে চলার একদিন পর এ ঘটনা ঘটল।
এ সময় ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হন বলে রেল কর্মকর্তারা জানান।
শমসেরনগরের স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী একপ্রেস রাত ১১ টা ৫৩ মিনিটে স্টেশনে ঢোকে। এ স্টেশনে ২ মিনিট যাত্রাবিরতির কথা থাকলেও সেটি না থেমে প্ল্যাটফরম অতিক্রম করে এবং পরবর্তী স্টেশন কুলাউড়ায় চলে যায়।
ট্রেনের গতি তখন ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে। ট্রেন থামছে না দেখে যাত্রীদের কেউ কেউ বগি থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে আহত যাত্রীদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত স্টেশনে থামার পর কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের সংকেত পেলেই ট্রেন ছাড়ার কথা। কিন্তু চালক ও পরিচালক তা না করে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যান কুলাউড়া স্টেশনে। শমসেরনগরের যাত্রীরা সেখানে গিয়ে নামেন।
নিয়ম না মানায় ‘বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত’ জানিয়ে এই রেল কর্মকর্তা বলেন, ওই সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন ‘ক্রসিংয়ের জন্য’ কুলাউড়া স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। উপবন প্রায়ই শমসেরনগরে ক্রসিং নেয়। কালও সেরকম হলে সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারত।”
প্রসঙ্গত, রোববার শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া পাহাড়ি এলাকা বেয়ে ওঠার সময় সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংযোগস্থলের ‘হুক’ ভেঙে ও ‘ভ্যাকুয়াম পাইপ’ খুলে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীবাহী চারটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে উল্টো পথে ৪ কিমি ছুটে চলার ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।