চা শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবিতে
মৌলভীবাজার ও সিলেটের ৬৪টি চা বাগানে একযোগে কর্মবিরতি পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ মে ২০১৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরার মুক্তি ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মৌলভীবাজার ও সিলেটের ৬৪টি চা বাগানে একযোগে ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে চা বাগানের সাধারণ চা শ্রমিকরা। আজ ৬ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা বাগানের কাজে যোগদান না করে বাগানের প্রধান সড়ক অবরোধ করে এ কর্মবিরতি পালন করে।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলস্থ ফিনলে চা কোম্পানীর ভাড়াউড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক-এর উপর হামলার মামলায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সাগর হাজরা ও তার পরিবার সদস্যদের আসামী করা হয়। এই মামলায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার মৌলভীবাজার বিজ্ঞ হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মিথ্যা ও হয়রানীমূলক এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বালিশিরা ভ্যালীর ৬৪টি চা বাগানে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একযোগে ৩ ঘণ্টা কর্ম বিরতি পালন করেন।
বুধবার বালিশিরা ভ্যালির চা বাগান কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াছড়া চা বাগানে গেলে দেখা যায় প্রায় প্রায় দুই সহস্রাধিক নারী পুরুষ সমন্বয়ে চা শ্রমিকরা চা বাগান কারখানার রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নিয়ে কর্ম বিরতি পালন করছেন।
দেওড়াছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুবোধ কূর্মী বলেন, নতুন করে এ মামলায় সাগর হাজরার ভাই চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরাকে জড়িয়ে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরার মুক্তি ও হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। প্রয়োজনে দেশের সবগুলো চা বাগান শ্রমকিদের নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, এ মামলাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও হয়রানিমূলক। অবিলম্বে কারারুদ্ধ বিজয় হাজরাকে মুক্তি দিয়ে ও মিথ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বালিশিরা ভ্যালীর কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলসহ ৬৪টি চা বাগানের শ্রমিকরা তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছে।