‘সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভী মুসলমানদের ঈমানী চেতনায় জ্বলে উঠতে শিখিয়েছেন’— আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ মে ২০১৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন সংবাদদাতা ::
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সিপাহসালার, তরীকায়ে মুহাম্মদীয়ার প্রতিষ্ঠাতা, ইমামুত তরীকত ও শরীয়ত হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (র.) এর ওফাত দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রিতে ফুলতলী ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে গতকাল রোববার ৩ মে বাদ জোহর ‘ইসলামি আন্দোলনে বালাকোট দিবসের শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফুলতলী ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক, সাপ্তাহিক পূর্বদিক পত্রিকার প্রকাশক আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ।
আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (র.) এর জীবন থেকে নানামুখি শিক্ষা রয়েছে ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের। বিশেষ করে খেদমতে খালক, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এবং একমাত্র আল্লাহর জন্য ইবাদত। সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভীর জীবন ছিল আপোষহীন। তিনি একাধারে ত্রিমুখি শত্রুর মুকাবিলা করেছেন। বালাকোট প্রান্তরে শহীদি সুরা পান করে বিশ্বের মুসলমানের কাছে তার আপোষহীনতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। মুসলমানদের যুগে যুগে ঈমানী চেতনায় জ্বলে উঠতে শিখিয়েছেন। দুনিয়ার কোন লোভই তাকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি।
ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার কভেন্ট্রির পরিচালক আলহাজ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ গোলাম কিবরিয়া, আলহাজ মুজাহিদ খান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৮৩১ সালের ৬মে বালাকোটের ময়দানে এক অসম যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (র.) ও তাঁর সহযোদ্ধারা। ভারতীয় উপমহাদেশে তৎকালীন মুসলমানদের প্রাণ পুরুষ ছিলেন হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (র.)। সেদিন থেকে ৬ মে স্বাধীনতা প্রিয় মুসলমানদের নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।
সেদিন বালাকোটের সেই অসম সমরে হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (র.) তাঁর সহযোদ্ধাসহ যেভাবে অতুলনীয় বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন তাতে মুতা, ইয়ামামা ও কারবালার শহীদদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ঐ দিন তাঁরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও তাঁদেরই প্রেরণায় ভারত উপমহাদেশের মুসলমানগণ আজাদী আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথক আবাসভূমি লাভে উজ্জীবিত হয়েছিলেন।