বিশ্বনাথে ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ মে ২০১৫, ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস চিহ্নত করার পরও ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ক্লাস করছে শতশত শিক্ষার্থী। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে রয়েছে ভবন ও আসবাবপত্র সংকট। রয়েছে স্যানিটেশন সমস্যা। অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো মেরামতের উদ্যোগ না নিলে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটের আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যায়ল মেরামত ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে তালিকা গত বছরের ৩ জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এরই মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও মধ্যম ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে জেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেওয়া হয়। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে বিশ্বনাথ ইউনিয়নে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাকাজি ইউনিয়নে ৩টি বিদ্যালয়, অলংকারি ইউনিয়নে ৪টি, খাজাঞ্চী ইউনিয়নে ২টি বিদ্যালয়, রামপাশা ইউনিয়নে ৩টি বিদ্যালয়, দেওলকস ইউনিয়নে ৪টি বিদ্যালয়, দৌলতপুর ইউনিয়নে ৩টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ, মধ্যম ও সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
যেসব বিদ্যালয়ের ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে সেগুলো হলো- হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোগশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী আরশদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ দেওকলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অলংকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরেরচর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মটুককোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নতুনকুঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও উপজেলার মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- গোয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরেরচর (১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেলিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট খুরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুমরাগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাওনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইলামেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একলিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগেরকাছ (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছহিফাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চিন্তাহরণ দাস বলেন, অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নত ১৩টি বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বছর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।