কমলগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ফাঁড়িসহ শত শত ঘর আংশিক বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কালবৈশাখীর ছোবলে আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি, দু’টি বিদ্যালয়সহ শমশেরনগর, পতনঊষার ইউনিয়নে বস্তি ও চা বাগান এলাকায় প্রায় শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ পড়ে দু’ইউনিয়নের তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
প্রায় ৩০ মিনিটব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি, পতনউষার ইউনিয়নের ধূপাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের নাচঘরসহ প্রায় শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অসংখ গাছ ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মতিউর রহমান বলেন, আকষ্মিক ঝড়ে ফাঁড়ির টিনের চালা ভেঙে পড়ায় বৃষ্টির পানিতে মূল্যবান কিছু কাগজপত্র বিনষ্ট হয়েছে।
ধূপাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল মোত্তাকীন বলেন, টিনসেড ও বাঁশের বেড়ার বিদ্যালয়টির একটি টিনের চালা উড়িয়ে নিয়েছে।
শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের ইউপি সদস্য সিতারাম বিন বলেন, কানিহাটি চা বাগানে মইনি রিকিয়াশনের ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং নাচঘরসহ ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া শমশেরনগর চা বাগান, শমশেরনগর ও পতনউষার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৮০টির মতো ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শমশেরনগর অফিসের ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অসংখ্য স্থানে তার ছিড়ে ও বেশকিছু পরিমাণে মিটার ভেঙে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ও হাজিপুর ইউনিয়নেও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।